কোটা আন্দোলনে শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার প্রতিবাদে ‘অভিভাবকদের মৌন অবস্থান’ কর্মসূচি পালন করতে দেয়নি পুলিশ। মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রশাসনিক গেটের পাশে অভিভাবকদের এ কর্মসূচি হওয়ার কথা ছিল। সে অনুযায়ী তারা সেখানে জড়োও হয়েছিলেন। কিন্তু এর আগেই ঢাকা মেডিকেলের প্রশাসনিক ব্লক ও জরুরি বিভাগের গেটের সামনে অবস্থান নেয় বিপুল সংখ্যক পুলিশ। অভিভাবকরা জড়ো হতে থাকলে প্রথমেই বাধার সম্মুখীন হন। পুলিশ তাদের অবস্থান থেকে সরে যেতে বলে। কিন্তু অভিভাবকরা তাতে সায় দেননি। এক পর্যায়ে তাদের ঢাকা মেডিকেলের জরুরি বিভাগের গেটের ভেতর ঢুকতে দেওয়া হয়। পরে নারী অধিকার আন্দোলনের সভানেত্রী সীমা দত্ত বলেন, আন্দোলনে আহত যে সন্তানরা হাসপাতালে ভর্তি তাদের আমরা দেখতে এসেছি। পুলিশ আমাদের সেখানে যেতে দিচ্ছে না। শত শত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। উনারা বলছেন, আমরা এখানে দাঁড়াতে পারবো না। আমাদের ছেলেমেয়েরা মারা গেছে, আহত হয়েছে। শিক্ষা ও শিশু রক্ষা আন্দোলনের (শিশির) আহ্বায়ক রাখাল রাহা বলেন, সামান্য একটা অধিকারের আন্দোলনের জন্য রাষ্ট্র এইভাবে আমার সন্তানকে হত্যা করে? দুনিয়াতে এমন আর কোনো রাষ্ট্র আছে যে তার শিক্ষার্থীদের ওপর এভাবে গুলি চালাতে পারে? এভাবে দলীয় বাহিনী লেলিয়ে দিতে পারে? আহত হয়ে যারা হাসপাতালে এসেছিল, তাদের আবার হামলা করা হয়েছে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী আহত হয়েছিল, সেখান থেকে তাকে ঢাকায় আনা হয়েছিল, এখানে মৃতবরণ করে সে ফিরে গেছে, চিকিৎসার অভাবে। তিনি বলেন, আমরা অভিভাবক, শিক্ষকসহ আরও বৃহত্তর কর্মসূচিতে যাব। এবং সেইদিন রাষ্ট্রের জুলুমের যেই পরিপত্র এইসব আমরা মানব না। আজকে আমাদের ২০ জন মানুষকে ১০ মিনিট দাঁড়ানোর সুযোগ দেওয়া হয়নি, এগুলো আমাদের ওপর জুলুম, পরবর্তীতে এটি আমরা মানব না। বাংলাদেশ সচেতন অভিভাবক সমাজের আহ্বায়ক মাহমুদ আবু মুসলিম বলেন, আমরা তো এখানে কোনো গাড়ি ভাংচুর করছি না। বিশৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টি করছি না, তারপরও তারা আমাদের কেন এখানে দাঁড়াতে দিচ্ছে না আমরা বুঝতে পারছি না।