উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল থেকে সৃষ্ট বন্যায় সিরাজগঞ্জে কৃষকদের ৬২ কোটি ৭৮ লাখ ৩ হাজার ১২৬ টাকার ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে। বন্যার পানিতে পাট, তিল, পটোল, আউশ, আমন বীজতলা ও বেগুনসহ অন্যান্য ফসল নষ্ট হয়ে যাওয়ায় তারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। সিরাজগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, জেলার সিরাজগঞ্জ সদর, কাজীপুর, বেলকুচি, চৌহালী ও শাহজাদপুর উপজেলায় এবারের বন্যায় ৩৭ হাজার ৪৬ জন কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। তিন সপ্তাহের এ বন্যায় জেলায় ৬ হাজার ৫২৫ হেক্টর জমির ফসল পানিতে নিমজ্জিত হয়। এর মধ্যে পুরোপুরি নষ্ট হয়ে যায় ৩ হাজার ১৮৫ দশমিক ১ হেক্টর ফসলি জমি। এসব ফসলের ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৬২ কোটি ৭৮ লাখ ৩ হাজার ১২৬ টাকা। ক্ষতিগ্রস্ত কাজীপুর উপজেলার নাটুয়ারপাড়া এলাকার মবজেল হোসেন জানান, তিনি দুই বিঘা জমিতে বেগুন চাষ করেছিলেন। বন্যার পানিতে সব পচে নষ্ট হয়ে গেছে। সংসার কীভাবে চলবে তা নিয়ে এখন তিনি দুর্ভাবনার মধ্যে রয়েছেন। সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী নাজমুল ইসলাম বলেন, প্রায় এক সপ্তাহ ধরে যমুনা নদীর পানি কমছে। এ মুহূর্তে আর বন্যার কোনো পূর্বাভাস নেই। সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা আনোয়ার সাদাত বলেন, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের তালিকা করে জেলা সম্প্রসারণ বিভাগে পাঠানো হয়েছে। প্রতিবছর ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সহযোগিতা করা হয়। এবারও সহায়তা করা হবে। এ প্রসঙ্গে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বাবলু কুমার সূত্রধর জানান, তারা ক্ষয়-ক্ষতির বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন। একইসঙ্গে কৃষকদের সহায়তার কথাও বলা হয়েছে। সহায়তা পেলে কৃষকরা কিছুটা উপকৃত হবেন বলে তিনি জানান।