কিশোরগঞ্জে নিজ কন্যাকে ধর্ষণের দায়ে পিতাকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হচ্ছে ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার কাওয়ারগাতি গ্রামের মো. মঞ্জিল মিয়া(৩৭)।মঙ্গলবার(১৬ জুলাই) দুপুরে কিশোরগঞ্জের নারী ও নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল নং-১ এর বিচারক মুহাম্মদ হাবিবুল্লাহ আসামির উপস্থিতিতে এই রায় প্রদান করেন। একই সঙ্গে আদালত তাকে এক লক্ষ টাকা জরিমানাও করেছেন। রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পিপি অ্যাডভোকেট এম এ আফজল বলেন, মেয়েকে বাবা বলাৎকার করেছে এটি হলো যত অনাচার আছে তন্মধ্যে সবচেয়ে জঘন্যতম অনাচার। কাজেই এর বিচারে আসামির ফাঁসি হওয়াটাই যুক্তিযুক্ত হয়েছে বলে আমি মনে করি। মামলার বিবরণে প্রকাশ, মো. মঞ্জিল মিয়া তার স্ত্রী ও চার কন্যা সন্তান নিয়ে কিশোরগঞ্জ শহরের পেট্রোল পাম্প সংলগ্ন একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করতো। তার স্ত্রী নূরেজা খাতুন বাসাবাড়িতে কাজ করতো। তাদের বড় কন্যাকে ঘটনার নয় মাস পূর্বে অষ্টগ্রামে বিয়ে দেওয়া হয়। বিয়ের পর থেকেই মঞ্জিল মিয়া তার কন্যাকে শ্বশুরবাড়ির লোকজনদের সঙ্গে ঝগড়া-বিবাদের অজুহাতে প্রায়শই নিজ বাড়িতে নিয়ে আসতো। পারিবারিক অশান্তির কারণে মঞ্জিল মিয়া প্রায়শই তার স্ত্রী ও সন্তানদের মারধোর করতো। নূরেজা খাতুন হাসপাতালে ভর্তি থাকার সুযোগে ২০২৩ সালের ২৭ জুন রাতে মঞ্জিল মিয়া তার বড় মেয়েকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। লোকলজ্জার ভয়ে মেয়ে বিষয়টি গোপন রাখে। কিছুদিন পর ১৯ জুলাই রাতে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করলে মেয়ে ও মেয়ের মা বাধা দেওয়ায় উভয়কে বেদমভাবে মারপিট করা হয়। তখন মেয়ে তার মাকে জানায় যে, তার পিতা নানা ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে তাকে ইতিপূর্বে আরো বেশ কয়েকবার ধর্ষণ করেছে। এ ব্যাপারে নূরেজা খাতুন বাদী হয়ে তার স্বামীর বিরুদ্ধে কিশোরগঞ্জ মডেল থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করে। পুলিশ তদন্তশেষে পরে মঞ্জিল মিয়ার বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে। সরকার পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন স্পেশাল পিপি অ্যাডভোকেট এম এ আফজল এবং আসামি পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট আব্দুল খালেক দাদন।