ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার মধুমতি নদীর ভাঙ্গন মুজিব বর্ষে গড়ে তোলা আশ্রয়ণ প্রকল্পের ৯২ ঘর হুমকির মুখে পড়েছে। নদী তীর রক্ষায় পদক্ষেপ না নিলে এসব ঘর দ্রুতই নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার আশঙ্কায় উদ্বিগ্ন দিন কাটাচ্ছেন বসতিরা। এ অবস্থায় নদী তীর রক্ষায় কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণে সেখানকার বসতিরা স্থানীয় ইউপি সদস্য এবং চেয়ারম্যানকে অবগত করেছেণ । সংবাদ শুনে মঙ্গলবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় মধুখালী উপজেলার ডুমাইন ইউনিয়নের নিশ্চিন্তপুর নদীর কুলের ৯২টি ঘরের মধ্যে উত্তর দিকের বেশ কয়েকটি ঘর মধুমতি নদীর ভাঙ্গনের মাত্রা তীব্র আকার ধারণ করেছে। এ ছাড়া আশপাশের নিশ্চিন্তপুর দক্ষিন , উত্তর এবং পশ্চিম পাশ ভেঙ্গে পূর্ব দিকে ধাপিত হচ্ছে । কামারখালী ইউনিয়নেও মধুমতি নদীর ভাঙ্গন চলছে , আরেকদিকে চলছে ভাঙ্গন রোধের কাজা । বিলীন হচ্ছে , ফসলি জমি, ঝুকিতে আছে আশ্রয়ন প্রকল্প, মসজিদ সহ নানা স্থাপনা। ডুমাইন ইউনিয়নের নিশ্চিন্তপুর মাঠপাড়া বা চরপাড়া গ্রামে মুজিব বর্ষে গড়ে তোলা হয়েছে আশ্রয়ণ প্রকল্প। আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দা লাভলু মিয়া জানান, প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে তারা মাথা গোঁজার ঠাঁই হিসেবে একটু আশ্রয় পেয়েছিলেন। এখন এই আশ্রয় হারালে তাদের আবার পথেই থাকতে হবে। নিশ্চিন্তপুর আশ্রয়ন প্রকল্পের গ্রামের বাবলু মিয়া বলেন, বছরের পর বছর তার গ্রামে মধুমতি নদীর ভাঙ্গন চলছে। তাদের অনেক জমি-জমা নদীতে চলে গেছে। এখন এই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা’র উপহার দেওয়া ভিটে টুকু রয়েছে। তাও ভাঙনের মুখে পড়েছে। স্থানীয়রা জানান, ডুমাইন ইউনিয়নের সবচেয়ে বড় গ্রাম ছিল নিশ্চিন্তপুর । এখন এই গ্রাম মধুমতি নদীর গর্ভে চলে যাচ্ছে । ডুমাইন ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত প্যালেন চেয়ারম্যান ইলিয়াজ শেখ বলেন, এ সমস্যা মধুখালী উপজেলার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। স্থানীয় সংসদ সদস্য ও মৎস্য এবং প্রানী সম্পদ মন্ত্রী জননেতা আব্দুর রহমান এম.পি. এবং ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক কামরুল আহসান তালুকদার (পিএএ) কে জানানো হবে বলে জানা যায় । একঅত্র এলাকা পরিদর্শনও করে গেছেন । তাই সচেতন নাগরিক এবং আশ্রয়ন প্রকল্পের বসতিরা জানান ভাঙ্গন রোধে জরুরী ব্যবস্থা নেয়া হোক । মধুখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মামনুন আহমেদ অনীক বলেন, আমরা পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে জানিয়েছি। স্থানীয় জেলা উন্নয়ন সমন্বয় সভাতেও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। ওই এলাকার আশ্রয়ণ প্রকল্পসহ অন্যান্য ক্ষতি যাতে না হয় সে জন্য আবারও পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়কে গুরুত্বের সঙ্গে জানাবো এবং ব্যবস্থা নেওয়া হবে।