বন্যার্তদের জন্য চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ত্রাণবাহী ট্রাক নোয়াখালী যাওয়ার পথে গত মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) মীরসরাইয়ের জোরারগঞ্জ এলাকায় দুর্ঘটনায় পড়ে। এতে ১২ জন শিক্ষার্থী আহত হন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ফাহিম আহমেদ পলাশকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) রাতে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার সিএমএইচ হাসপাতালে নেয়া হয়। এমতবস্থায় বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৭ টায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ খবর ছড়িয়ে পরার সঙ্গে সঙ্গে তার নিজ এলাকা দিনাজপুরের খানসামা উপজেলায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। নিহত পলাশ উপজেলার ভাবকী ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের ভাবকী গ্রামের মুন্সিপাড়া এলাকার আক্কাস আলীর ছেলে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দুর্ঘটনা হওয়ার দুই দিন আগে থেকেই বন্যার্তদের জন্য ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম পরিচালনা করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থীরা। সোমবার (২৬ আগস্ট) দিবাগত রাত ৩টার দিকে ট্রাকে করে নোয়াখালী সেনবাগের উদ্দেশে ত্রাণ নিয়ে রওনা দেয় শিক্ষার্থীরা। পথে মীরসরাই পার হওয়ার পর জোরারগঞ্জ এলাকায় পৌঁছালে চালকের অসাবধানতার কারণে সামনে থাকা একটি গাড়ির সঙ্গে ধাক্কা দেয়। এতে সামনের আসনে থাকা দুজন শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হন এবং ট্রাকের সামনের অংশ দুমড়ে-মুচড়ে যায়। গাড়িতে ওই বিভাগের শিক্ষার্থীদের সংগৃহীত তৃতীয় দিনের ত্রাণ ছিল। ফাহিম আহমেদ পলাশের অকার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন খানসামা উপজেলার শিক্ষার্থীরাসহ বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠন।