তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম বলেছেন, গত ১৫ বছর ডিজিটাইজেশনের নামে ব্যাপক দুর্নীতি ও অনিয়ম হয়েছে। আমরা সেগুলো তদন্ত করছি। তিনি বলেন, এটুআই নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হচ্ছে। আমরা এটুআই এর পলিসি পরিবর্তন করতে চাই।
বৃহস্পতিবার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অফিস কক্ষে ইউএনডিপি’র প্রতিনিধি দলের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
সাক্ষাৎকালে তারা দ্বিপাক্ষিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। সাক্ষাতের শুরুতে স্টিফেন লিলেন উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামকে অভিনন্দন জানিয়ে সরকারের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য জানার আগ্রহ প্রকাশ করেন।
এ সময় উপদেষ্টা বলেন, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে প্রাপ্ত নতুন বাংলাদেশের এই সরকারের কাছে জনগনের অনেক প্রত্যাশা। তাই স্বাভাবিকভাবে চাপও বেশি। ধ্বংসস্তুপের উপর দাঁড়িয়ে কাজ করতে হচ্ছে।
অনিয়ম দুর্নীতির জন্য আমরা এখনো কাউকে শাস্তি দেই নি উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, এইটুআই এর ১৪ কর্মকর্তাকে তদন্তের স্বার্থে কাজ থেকে বিরত থাকতে বলেছি। ইউএনডিপি যেহেতু এটুআই এর সাথে জড়িত, তাই আমরা তাদেরও তদন্ত করতে বলেছি।
স্টিফেন লিলেন বলেন, আমরা তদন্তের বিষয়টা খুবই গুরুত্ব সহকারে দেখছি। তাছাড়া সোশ্যাল মিডিয়ায়ও আমরা কিছু অভিযোগ পেয়েছি, সেগুলো তদন্ত করছি। এটুআইয়ের সাথে ২০২৫ সালের চুক্তি শেষ হবে উল্লেখ করে স্টিফেন বলেন, ভবিষ্যতে সরকারের সাথে ইউএনডিপি কাজ করতে আগ্রহী ।
নাহিদ ইসলাম আরও বলেন, আমরা হয়তো খুব বড় প্রকল্প করতে পারবো না। আমরা রোড ম্যাপ করছি, পাশাপাশি গত ১৫ বছরে ডিজিটাল করার নামে যে সমস্যাগুলো ছিল তা পর্যালোচনা করছি, এ বিষয়ে ইউএনডিপি’র যদি কিছু বলার থাকে, তা তারা বলতে পারে বলেও উপদেষ্টা মন্তব্য করেন।
উপদেষ্টা বলেন, আমরা ডিজিটাল বৈষম্য দেখতে পাচ্ছি। আইসিটি’র সমস্ত সুবিধা আমরা প্রান্তিক পর্যায়ে পৌঁছে দিতে চাই। তাছাড়া তরুনদের সাইবার নিরাপত্তা, আইসিটি বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিতে চাই, যেন তারা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে এসব বিষয়ে ভালোভাবে কাজ করতে পারে। তিনি বলেন, বাংলাদেশী ছাত্ররা যারা বিভিন্ন দেশে তথ্য প্রযুক্তিতে অভিজ্ঞ হিসেবে কাজ করছে, তাদের সমন্বয়ে একটি টিম গঠন করা হবে।
সাক্ষাৎকালে ইউএনডিপি’র প্রতিনিধি দলে মি.ষ্টিফেন লিলেন, মিজ সোনালী দয়ারতেœ, মি.আনোয়ারুল হক এবং মিজ শীলা তাসনীম হক উপস্থিত ছিলেন।