ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদর উপজেলার চন্ডারখিল গ্রামে গত বুধবার দুপুরে তাজু মিয়ার গোষ্ঠী ও নাছির মিয়ার গুষ্টির মধ্যে পূর্ব শত্রুতার জেরে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। পরে ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সরেজমিনে গেলে দেখা যায় ২ টি দোকানসহ প্রায় ২০ টি বসত ঘরে দায়ের কোপ এবং ঘরে থাকার সকল প্রকার মালামাল লুটপাট করে নিয়ে যায় তাজু মিয়ার গোষ্ঠীর লোকজন। ফরহাদ, রাসেল, শিব্বির, মুস্তাকিম, লাজুক উদ্দিনসহ ১০ জন গুরুতর আহত অবস্থায় সদর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন বলে এলাকাবাসী জানায়। স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, তাজু মিয়া ও নাছির মিয়ার মধ্যে দলীয়ভাবে দীর্ঘদিন ধরে গোষ্ঠীগত সংঘর্ষ চলমান রয়েছে। তাদের মধ্যে পূর্ব থেকেই বিরোধ চলে আসছিল। এর জেরে বুধবার দুপুর থেকেই দফায় দফায় সংঘর্ষ চলেছে প্রায় দুই ঘণ্টা। টানা দুই দিনের সংঘর্ষে নারী শিশু মিলিয়ে আহত হয় প্রায় অর্ধ শতাধিক, দোকান সহ কমপক্ষে ২০ টি বাড়িতে ভাঙচুর লুটপাট করা হয়। এ ঘটনায় চন্ডারখিল গ্রামে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। এলাকার গ্রাম্য সরদার নাছির মিয়া বলেন, তার ঘরে থাকা নগদ টাকা এবং দোকানের মালামাল লুটপাট করে নিয়ে যায়। যার মূল্য ১০ লক্ষাধিক টাকা। এই গ্রামের হারুন মিয়ার উপরেও অতর্কিত হামলা হয়, সে গুরুতর আহত অবস্থায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে জানা যায়। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মোজাফফর হোসেন বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ ও সেনাবাহিনী গিয়েছিল, এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন আছে।