আলমডাঙ্গা উপজেলায় জিকে প্রকল্পের প্রধান খালের পাড় ভেঙে কয়েক হাজার হেক্টর জমির আমন ধান প্লাবিত হয়েছে। এছাড়া বসতবাড়িতেও উঠেছে পানি । এ পানিতে ভেসে গেছে পাটের জাগ ও পুকুরের মাছ। ঘটনাটি বুধবার সন্ধ্যা ৭ টার দিকে উপজেলার বেলগাছি ইউনিয়নের কেদারনগর-কাশিপুর এলাকায় ঘটেছে। স্থানীয়রা জানান, গত ২ বছর আগে রাজু ফারাজী নামের এক ব্যাক্তি ধান খেতে পানি দেওয়ার জন্য খালের পাড় কেটে পাইপ স্থাপন করেন। গত কয়েকদিন যাবৎ ওই পাইপের পাশ দিয়ে পানি বের হতে থাকে। বুধবার সন্ধ্যায় ওই জায়গা থেকে জিকে খালের প্রায় ১০০ ফিট জায়গা ভেঙে পানি প্রবাহিত হয়। মুহুর্তে খালের পানিতে কেদারনগর-কাশিপুর ও ডামোশ গ্রামের কয়েক হাজার হেক্টর জমির আমন ধান খেত প্লাবিত হয়। পানির ওই স্রোতে জিকে খালে জাগ দেওয়া পাটও ভেসে যায়। এছাড়া ওই পানিতে ভেসে গেছে ৫/৬ টি মাছ চাষের পুকুরও। ভুক্তভোগী কৃষক মোহাম্মদ আলী জানান, এবছর ১ বিঘা জমির পাট কেটে খালের পানিতে জাগে দিয়েছি। কয়েকদিন পরই ওই পাট পরিষ্কার করা হত। কিন্তু এমন ঘটনায় তিনি ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। কেদারনগর গ্রামের কৃষক আজগর আলী জানান, দীর্ঘদিন জিকে খালের পাড় গুলো সংস্কার করা হয়নি। এতে পোকা-মাকড়ের ছোট বড় গর্ত তৈরি করেছে। পার ভেঙে পানিতে প্লাবিত হয়েছে কয়েক হাজার হেক্টর জমির ধান, পাট ও মাছের পুকুর। এসকল ফসল রক্ষায় প্রশাসনের সহযোগীতা চেয়েছেন। বেলগাছি ইউনিয়ন পরিষদের (ভারপ্রাপ্ত) চেয়ারম্যান মেহেরাজ আলী জানান, জিকে খালের পানিতে কয়েক হাজার হেক্টর জমির ধান প্লাবিত হয়েছে। পানি বের করার জন্য ওই এলাকার ছোট খালগুলো পরিস্কার করা হবে। আলমডাঙ্গা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রেহেনা পারভিন জানান, কি পরিমাণের ক্ষতি হয়েছে এখন বলা সম্ভব না। বৃহস্পতিবার সকালে তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। তারপরেই ক্ষতির পরিমাণ জানা যাবে।