চুয়াডাঙ্গা জেলায় গত ১৬ বছরে বৈধ আগ্নেয়াস্ত্র ইস্যু করা হয়েছিল ৮০টি। এর মধ্যে একটি ছাড়া জমা পড়েছে ৭৯টি অস্ত্র। মঙ্গলবার (৩ আগস্ট) অস্ত্র জমা দেয়ার শেষ দিনে এ তথ্য জানা গেছে। সবাই আগ্নেয়াস্ত্র জমা দিলেও চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আলী আজগার টগরের নামে ইস্যুকৃত একটি শটগান জমা পড়েনি। জমা না হওয়া অস্ত্র উদ্ধারে রাত থেকেই অভিযানে নেমেছে যৌথবাহিনী। সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ, র্যাবসহ বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যরা থাকবেন অভিযানে।
চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসন ও পুলিশের বিশেষ শাখা সূত্রে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা জেলায় ব্যক্তি পর্যায়ে আগ্নেয়াস্ত্র লাইসেন্সধারী রয়েছেন ৬৮জন। এর মধ্যে অস্ত্র ক্রয় করেছেন ৬৪ জন। অপরদিকে, সামরিক পর্যায়ে অস্ত্রের লাইসেন্স আছে ২০ জনের। এর মধ্যে অস্ত্র কিনেছেন ১৬ জন। গত ১৬ বছরের মধ্যে মোট অস্ত্রধারী ছিলেন ৮০ জন। তাদের মধ্যে দেশের বিভিন্ন থানায় অস্ত্র জমা দিয়েছেন ৭৯ জন। বাকি একজন চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আলী আজগার টগরের নামে লাইসেন্সকৃত একটি শটগান কোথাও জমা দেয়া হয়নি।
চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসনের সহকারি কমিশনার (জুডিশিয়াল মুন্সিখানা শাখা) নাঈমা জাহান সুমাইয়া জানান, সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) বৈধ অস্ত্র জমা দেয়ার শেষ দিন। এ সময়ের মধ্যে যারা নিজ নিজ লাইসেন্সকৃত অস্ত্র জমা দিয়েছেন তাদের তালিকা প্রস্তুত করা হচ্ছে। আবার যে কয়টি অস্ত্র জমা পড়েনি তারও তালিকা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি থেকে চলতি বছরের ৫ আগস্ট পর্যন্ত বেসামরিক লোকজনকে দেওয়া আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স স্থগিত করা হয়। ওই সময়ে যাদের লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে তাদের ৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে গোলাবারুদসহ আগ্নেয়াস্ত্র সংশ্লিষ্ট থানায় জমা দিতে বলা হয়।