২০২৩-২৪ অর্থ বছরে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলায় ১০টি ইউনিয়নে ২য় পর্যায়ে ৪০দিনের কর্মসৃজন কাজের ২৮দিনের প্রকল্প বরাদ্দ আসে ২ কোটি ২৮ লক্ষ ১৪ হাজার ৪’শত টাকা। যেখানে জনপ্রতি শ্রমিকের মজুরি ছিলো ৪’শত টাকা। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সূত্রে যানাযায়, অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচির আওতায় কর্মসৃজন প্রকল্পের মাধ্যমে কাঁচারাস্তা মেরামত, নতুন রাস্তা তৈরিসহ উন্নয়নমূলক কাজের জন্য ২০২৪ সালের (২০ এপ্রিল) শুরু হয় প্রকল্পটির কাজ। যেখানে ২ হাজার ৩৭ জন শ্রমিকের কাজ করার কথা ছিল। কিন্তু সঠিক সময়ে কাজ শুরু না হওয়া ও শ্রমিক সংকটের কারন দেখিয়ে বরাদ্দের প্রায় ৫০ লাখ টাকা ফেরত পাঠানো হয়েছে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে। এতে করে একদিকে যেমন ব্যাহত হয়েছে গ্রামের অবকাঠামো উন্নয়ন। অন্যদিকে বঞ্চিত হয়েছে অতিদরিদ্র শ্রমিকরা। উপজেলায় ১০টি ইউনিয়নের মধ্যে রনতনকান্দি ইউনিয়নে সবচেয়ে বেশি ২৫০ জন শ্রমিক এবং খোকশাবাড়ি ইউনিয়নে সবথেকে কম ১৪৮ জন শ্রমিক কাজ করলেও সব চেয়ে কম কাজ হয়েছে উপজেলার শিয়ালকোল ইউনিয়নে। কাজ না হওয়ায় এই ইউনিয়ন থেকে এবার রাষ্ট্রীয় কোষাগারে ফেরত গিয়েছে প্রায় ১২লাখ টাকা। শিয়ালকোল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. সেলিম রেজার কাছে তার ইউনিয়ন থেকে এত টাকা ফেরত যাওয়ার কারন জানতে চায়লে তিনি বলেন, যে সময়ে কর্মসৃজনের কাজ শুরু হয়েছিলো সেই সময়ে ধান কাটার কাজে ব্যস্ত ছিলো শ্রমিকরা। যার কারনে শ্রমিক সংকটে কাজ করা সম্ভব হয়নি। এদিকে শিয়ালকোল ইউনিয়নের একাধিক শ্রমিক জানান, আমরা গত কর্মসৃজনে কাজ করেছি শুনলাম আবার কাজ এসেছে অন্যান্য ইউনিয়নে কাজ হচ্ছে শুনে মেম্বার/চেয়ারম্যান এর কাছে গিয়েছিলাম তারা পরে কাজ হবে বলে আমাদের তাড়িয়ে দিয়েছে। এখন আমরা শুনতে পারলাম আমাদের কাজের টাকা চেয়ারম্যান সাহেব ফেরত পাঠিয়েছে। সদর উপজেলার কাওরাখোলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জিয়া মুন্সি বলেন, কর্মসৃজন প্রকল্পের টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে ফেরত গিয়েছে এমন ঘটনা আমার জানানেই। তবে আমার ইউনিয়নে কোন শ্রমিক সংকট ছিলো না কিন্তু ১৫ থেকে ২০ জন শ্রমিকের টাকা এখনও আসেনি। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইদুল হক জানান, রাষ্ট্রীয় কোষাগারে টাকা ফেরত যাওয়ার প্রধান কারন ছিলো শ্রমিক সংকট, দ্বিতীয়তে দেরিতে কাজ শুরু হওয়ায় ৪ দিন কাজ কম হয়েছিলো। প্রকল্পের সভাপতি ইউএনও মো. মনোয়ার হোসেন, বলেন, কর্মসৃজন কাজ চলাকালীন সময় আমি সরেজমিনে পরিদর্শনে গিয়ে উপস্থিত যে কয়েকজন শ্রমিক পেয়েছি সেই কয়জনের তালিকা দিয়েছি। যার কারনে এবার অনেক টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে ফেরত গিয়েছে।