খুলনা মহানগরী শহীদ শেখ আবু নাসের দাখিল মাদ্রাসার সুপার মোঃ হাসিবুর রহমান হাসিবকে তৃতীয় শ্রেণীর এক ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির দায়ে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। ঘটনার বিবরণে প্রকাশ, গতকাল শুক্রবার দুপুরে নগরীর সোনাডাঙ্গা মডেল থানার সৈয়দ আলী হোসেন এর প্রধান সড়কের বাড়ি থেকে উক্ত লম্পট মাদ্রাসার সুপারকে গ্রেপ্তার করা হয়। উক্ত ঘটনার পরিপেক্ষিতে শিক্ষার্থীর বাবা বাদী হয়ে নগরীর সোনাডাঙ্গা মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। বর্তমানে তৃতীয় শ্রেণী পড়ুয়া ভিকটিম শিক্ষার্থী সোনাডাঙ্গা মডেল থানার ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে রয়েছে। এদিকে শ্লীলতাহানির সার্বিক বিষয়ের বিবরণ দিয়ে কান্না জড়িত কন্ঠে ভিকটিমের মাতা বলেন, প্রতিদিন দুপুর ৩টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত আমার ছেলে ও মেয়ে উভয়ে মাদ্রাসার সুপার এবং তার স্ত্রীর কাছে মাদ্রাসার পড়াশুনার পাশাপাশি মাগরিবের নামাজের পর থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত মাদ্রাসা সুপারের কাছে দীর্ঘদিন ধরে কুরআন শরীফ পড়ে আসছিল। ঘটনার সময়ের রাতে মাদ্রাসার লম্পট সুপার আমার মেয়েকে একা পেয়ে রুমের লাইট বন্ধ করে দিয়ে জোরপূর্বক তাকে শ্লীলতাহানি করে। পড়া শেষে আমার মেয়ে বাড়িতে এসে কান্না করতে থাকে। কান্নার কারণ জিজ্ঞেস করলে আমার মেয়ে আমাকে হুজুরের শ্লীলতাহানির বিষয়ের সার্বিক বিবরণ দেয়। এ সময়ে উত্তেজিত এলাকাবাসী উক্ত ঘটনা জানতে পেরে হুজুরের বাসার সামনে চড়াও হয়ে জুতা ও ঝাঁটা নিয়ে বিক্ষোভ মিছিলসহ মাদ্রাসার সুপারের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ বিচারের দাবি জানান। উক্ত ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে খুলনা সোনাডাঙ্গা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ ওয়াহিদুজ্জামান জানান, থানায় মামলা হয়েছে। আমরা আন্তরিক ও গুরুত্বের সাথে বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখছি। এদিকে সোনাডাঙ্গা মডেল থানার এস আই ও উক্ত মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উত্তম কুমার মিত্র জানান, মাদ্রাসার সুপারের বিরুদ্ধে ১০ ধারায় মামলা হয়েছে এবং শ্লীলতাহানির দায়ে উক্ত মাদ্রাসার সুপারকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করেছি।