![Daily Nabochatona](https://dailynabochatona.com/wp-content/uploads/2023/01/31BwAd3.png)
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দ্বিতীয় ধাপে দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ থেকে প্রার্থী হয়েছেন তিনজন। তাঁদের প্রতিদ্বন্দ্বীতায় আছেন (সদ্য বহিষ্কৃত) বিএনপির এক নেতা। পাশাপাশি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে আছেন এক প্রার্থী। তবে ভোটের মাঠে পাঁচ প্রার্থীই সবর। জয় পেতে মরিয়া সকলে। বীরগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন বর্তমান চেয়ারম্যান ও সাবেক সংসদ সদস্য আমিনুল ইসলাম (ঘোড়া), জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আবু হুসাইন বিপু (আনারস) উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ওয়াহেদুজ্জামান বাদশা (টেলিফোন) জেলা বিএনপির উপদেষ্টা রেজওয়ানুল হক (কাপ-পিরিচ) এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আছেন সাবেক (ইউপি) চেয়ারম্যান এ কে এম কুতুবউদ্দিন (দোয়াত–কলম) মার্কা। ভোটে জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশা প্রকাশ করছেন পাঁচ প্রার্থীই। দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ২১ মে। দিনাজপুরের বীরগঞ্জ, কাহারোল, বিরল ও বোচাগঞ্জসহ মোট চারটি উপজেলায় ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ২ মে প্রতীক বরাদ্দের পর থেকেই ব্যানার, ফেস্টুন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, পথসভা, উঠান বৈঠকসহ বিভিন্ন মাধ্যমে প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রার্থীরা। হাটবাজার,চায়ের দোকানে, রাস্তার মোড়ে মোড়ে চলছে নির্বাচনী আলোচনাসহ পছন্দের প্রার্থীকে ভোটপ্রাপ্তির বিষয়ে নানা চলছে সমীকরণ। নিজপাড়া এলাকার বাসিন্দা মমিনুল করিম (৪৫) জানান মানুষ পরিবর্তন চায়। তরুণ-যুবক ভোটাররা তরুণ প্রার্থী আবু হুসাইন বিপুর আনারস মার্কার দিকে । তাঁর বাবা সুজালপুর ইউপির চেয়ারম্যান ছিলেন। অপরদিকে বর্তমান চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলামের পক্ষে মাঠে কাজ করছেন সাবেক সংসদ সদস্য মনোরঞ্জন শীল গোপাল। গতবার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে পরাজিত হয়েছিলেন জেলা বিএনপি’র উপদেষ্টা রেজওয়ানুল হক। এবারও তিনি প্রার্থী হয়েছেন। দল থেকে বহিষ্কারও করা হয়েছে তাঁকে। বিএনপির তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা ও ভোটের মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। সেদিক থেকে তিনি আছেন সুবিধাজনক অবস্থায় । অন্যদিকে দোয়াত-কলম প্রতীকের প্রার্থী কে এম কুতুবউদ্দিন ২০১৪ সালের উপজেলা নির্বাচনে দ্বিতীয় অবস্থানে ছিলেন। তিনিও এবার ব্যাপক প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উপজেলা আওয়ামী লীগের এক নেতা জানান নিজেদের দলের তিন প্রার্থী। কোন দিকে যাব, কার ভোট করব। এর মধ্যে দুজন তো বেশি শক্তিশালী। বিএনপির প্রার্থীকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। যদি ভোটাররা কোনো ধরনের হুমকি ধুমকির শিকার না হয় সে ক্ষেত্রে ফলাফল অন্য রকম হতে পারে। প্রেম বাজার এলাকায় মামুন ইসলাম জানান কায় জিতিলো কায় হারিলো তাতে হামার কী? ভোটের দিন মন চাহিলে ভোট দিবার যামো, মন না চাহিলে যাম নাই। একজনের তানে চিল্লাইয়া আরেকজনের শত্রু হবার দরকারটা কী। দুই দিন চিল্লাইবেন, কয়ডা টাকা পাইবেন? ভোট শেষ হইলে কাহো পুছিবে নাই। এ বিষয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনোয়ার হোসেন জানান এবারের ভোটের হিসাব-নিকাশ খুব জটিল। কাপ–পিরিচ আর দোয়াত-কলম প্রতীক ভালোই এগিয়ে আছে । যদিও তাঁদের মধ্যে ভোট ভাগাভাগি হবে। মাঝখানে তুমুল লড়াই হবে ঘোড়া ও আনারস প্রতীকের। ঘোড়ার প্রতীকের প্রচারণায় মাঠে আছেন সাবেক সংসদ সদস্য মনোরঞ্জন শীল গোপাল। অন্যদিকে আনারস প্রতীকে বর্তমান সংসদের মৌন সম্মতি আছে। এখন এই কয়েক দিনে যে বেশি ভোটারদের দারে দারে পৌঁছাতে পারবে, জয়ের মালা তারই হবে। তবে উপজেলা আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতারা তিন প্রার্থীর দিকে ভাগাভাগি হয়ে কাজ করছেন। পাশাপাশি এক স্বতন্ত্র প্রার্থীও রয়েছেন। ওই স্বতন্ত্র প্রার্থীর ভাই জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকায় ভোটাররা তাঁকে জামায়াতের প্রার্থী হিসেবে দেখছেন। তবে নির্বাচনের মাঠে পাঁচ প্রার্থীই চালাচ্ছেন জোর প্রচারণা আনারস প্রতীকের প্রার্থী আবু হুসাইন বিপু জানান ছাত্র জীবন থেকে এলাকার মানুষের সঙ্গে আছি। উপজেলার সকলস্তরের মানুষের সঙ্গে আমার নিবিড় সম্পর্ক। নতুন সংসদ সদস্যের মতো নতুন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচিত করবেন ভোটাররা। জয়ের ব্যাপারে আমি আশাবাদী। ঘোড়া প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী আমিনুল ইসলাম তিনি বলেন, ‘সংসদ সদস্য ছিলাম, আমি তিনবারের উপজেলা চেয়ারম্যান। ভোটাররা বরাবরই আমার ওপর আস্থা রেখেছেন। প্রত্যেক ভোটার আমার একেকজন কর্মী। জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী। কাপ-পিরিচ মার্কার প্রার্থী বিএনপি নেতা রেজওয়ানুল হক জানান দীর্ঘ সময় রাজনীতি করে আসছি। গত ১৫ বছর ক্ষমতার বাইরে থাকলেও বিএনপি শক্তিশালী একটি দল। এই উপজেলায় বিএনপি অনেক সুসংগঠিত। জয়ের লক্ষ্যে তৃণমূলের নেতাকর্মীরা ভোটের মাঠে কাজ করছে। যদি সরকারী দলের পক্ষ থেকে ভোটারদের কোন রকমের হুমকি না দেওয়া হয় তাহলে ভোটাররা ভোট দিয়ে আমাকে বিজয় করবে। টেলিফোন প্রতীকের প্রার্থী ওয়াহেদুজ্জামান বাদশা বলেন, ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে ভোট ও দোয়া চাচ্ছি । ভোটারদের কাছে ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি। ইনশাআল্লাহ বিপুল ভোটে জয়লাভ করব। দোয়াত-কলম প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী কে এম কুতুবউদ্দিন দৈনিক খবর সংযোগকে জানান ইউনিয়ন পরিষদে টানা তিনবার চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেছি । আমার ওপরে সাধারন ভোটারদের আস্থা ও ভরসা আছে। ইনশাআল্লাহ জনগন আমাকে ভোটদিয়ে বিজয় করে আনবে।