ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার মাদারগঞ্জ পশুর হাটে সরকারি নির্ধারিত মূল্যের বাইরে অতিরিক্ত খাজনা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে ইজারাদার প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। ঠাকুরগাঁও রোডের এস এম এ সিন্হা ইজারাদার হিসেবে মাদারগঞ্জ গরু হাট ইজারা নিয়েছেন। সামনে কুরবানী ঈদ। ঈদকে সামনে রেখে শহরের পাশ্ববর্তী এ হাটটিতে গরু উঠতে শুরু করেছে। সংখ্যা কম হলেও যত দিন যাবে ততই গরু বেশি উঠবে বলে জানা যায়। হাটে গরু প্রতি ২৬০ টাকা সরকারি রেটের বিপরীতে ৫শ টাকা খাজনা আদায়ের অভিযোগ করেছেন একাধিক ক্রেতা-সাধারণ। ১৩ মে সোমবার মাদারগঞ্জ পশুর হাটে একাধিক ক্রেতা অভিযোগ করে জানান, গরু প্রতি ২৬০ টাকা সরকারী রেটের বিপরীতে লেখাইয়ে ৫শ টাকা এবং চাঁদা (পারমিট ফি) ৩০ টাকা সহ মোট ৫৩০ টাকা দিতে হচ্ছে। হাটে ইজারাদারদের একাধিক লোকজনকে কত টাকা খাজনা নেওয়া হচ্ছে জিজ্ঞেস করলে তারা সকলে অকপটে স্বীকার করেন ৫শ টাকা নেওয়া হচ্ছে। সরেজমিনে মাদারগঞ্জ হাট ঘুরে দেখা যায়, ইজারাদারের পক্ষে নিযুক্ত মানুষজন টেবিল-চেয়ার নিয়ে বসে লেখাইয়ের মাধ্যমে রশিদ প্রদান করছেন। গরু বিক্রি করতে আসা লুৎফর রহমান জানান, আপাতত অল্প পরিমানে গরু হাটে উঠতে শুরু করলেও আরও কিছুদিন পরে বেশি পরিমাণে গরু হাটে উঠবে। লেখাইয়ে অন্যান্য হাটের মতই ৫শ টাকা নেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি। হাটে গরু নিতে আসা ইসমাইল নামে এক ক্রেতা বলেন, হাটে গরু একটু কম উঠেছে। কুরবানী উপলক্ষে অগ্রিম গরু কিনতে এসেছিলাম। গরুর দাম মুটামুটি সন্তাষজনক হলেও লেখাইয়ে গরু প্রতি ৫শ টাকা দিতে হচ্ছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ক্রেতা বলেন, বেশ কয়েকটি গরু বিক্রয় হয়েছে। লেখাইয়ে গরু প্রতি ৫শ টাকা দিতে হলো। অনেক অনুরোধ করেও সামান্য কিছু টাকা কমায়নি হাটের লোকজন। সরকারী রেটের বিপরীতে বেশি টাকা নেওয়ার প্রতিবাদ করেন তারা। অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার ব্যাপারে মাদারগঞ্জ হাটের ইজারাদার এস এম এ সিন্হার সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, আমার নামে ইজারা নেওয়া হলেও মাদারগঞ্জ হাটটি জামান নামে এক ব্যক্তি ও স্থানীয় ইউপি সদস্য ওরাই চালায়। আমি হাটে থাকি না। গরুর নির্দিষ্ট রেট থাকে না, অন্যান্যরা যেভাবে চালায়, আমরাও সেভাবেই চালাচ্ছি। এ ব্যাপারে ঠাকুরগাও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. বেলায়েত হোসেন বলেন, আমার ধারণামতে মাদারগঞ্জ হাটে গরু প্রতি খাজনা ২৬০ টাকা সরকারি রেট নির্ধারন করা আছে। সরকার নির্ধারিত মূল্যেই খাজনা আদায় করতে হবে, অতিরিক্ত নেওয়ার সুযোগ নেই। বিষয়টি জানলাম, পরে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।