![Daily Nabochatona](https://dailynabochatona.com/wp-content/uploads/2023/01/31BwAd3.png)
ব্রহ্মপুত্রের নদের পাশে দিগন্ত জুড়া মাঠে নজর কাড়ছে তুলা। পৌর এলাকার কম্পপুর, জঙ্গলদী, গোয়াবাড়িয়া, পাথালিয়া গ্রামের অনাবাদি ও পতিত জমিতে তুলা চাষ করে স্বাবলম্বী হচ্ছে সাধারণ কৃষক। কয়েকটি জাত থাকলেও এবার সিভি হাইব্রিড-১, সিভি-১২ ও সিভি-১৩ জাতের তুলা চাষ করে পাওয়া গেছে ভালো ফলন। ৩০০ হেক্টর জমিতে এ বছর তুলা চাষ করেছে ৭৫ জন চাষি। প্রতি বিঘায় ফলন এসেছে ১৪ থেকে ১৫ মণ তুলা। এই ফসল উৎপাদনে শ্রমিকের মজুরি ছাড়া সব খরচ তুলা উন্নয়ন বোর্ড ঋণের আকারে বহন করায় দিন-দিন এই চাষে ঝুকছে সাধারণ কৃষক। কম্পপুর গ্রামের তুলাচাষি আবু বক্কর বলেন, আগের চেয়ে অনেক তুলাচাষি বেড়েছে। কৃষকের চাহিদা বেশি, লাভ বেশি; তাই কৃষকের চাহিদা বেশি। সরকারের এর মধ্যে ভরণ-পোষণ সব দেয়। কৃষকের একটা টাকাও নাই। গুয়াবাড়িয়া এলাকার তুলাচাষি শরিফ মিয়া বলেন, তুলাচাষির সংখ্যা দিন-দিন বাড়ছে। ফলনও ভালো হচ্ছে এদিকে। তুলার মধ্যে লাভ বেশি পাচ্ছে কৃষকে। এই কারণে তুলা সবাই চাষ করছে। কৃষকদের দাবি, গত বছরের তুলনায় সার, বীজ, কীটনাশকসহ কৃষি উপকরণের দাম কয়েক গুণ বাড়লেও তুলার দাম প্রতি মণে ১০০ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ৩৯০০ টাকায়। এতে ফলন ভালো হলেও দাম নিয়ে সন্তুষ্ট নয় তারা। তাই তুলার দাম বৃদ্ধির দাবি কৃষকদের। পাথালিয়া গ্রামের তুলাচাষি জাকির হোসেন বলেন, সারের দাম বাড়ছে, বীজের দাম বাড়ছে, সবকিছু। কৃষি উপকরণের সবকিছুর দাম বাড়ার পরেও তুলার দাম মাত্র ১০০ টাকা বৃদ্ধি। এটা কৃষকের অধিকার বঞ্চিত ছাড়া আর কিছু না। একই গ্রামের চাষি আব্দুস সালাম বলেন, গতবার গেছে ৩৮০০ টাকা মণ এবার ৩৯০০ টাকা মণ। তবে খরচে আমাদের সঙ্গে এই আবাদ মিল হয় না। আমরা সরকারের কাছে আবেদন করি। আমাদের যাতে আরজি দৃষ্টিতে দেখে। জামালপুর তুলা উন্নয়ন বোর্ডের তুলা কর্মকর্তা মো. আব্দুল গনি বলেন, আমরা চেষ্টা করছি দাম আরো বাড়ায় দেয়ার জন্য। সামনে আরো কীভাবে বাড়ানো যায়? সেটা আমরা চেষ্টা করছি এবং যেন কৃষকদের পুষায়। সেজন্য ফলন কীভাবে বৃদ্ধি পায় সেই চেষ্টাও আমরা অব্যাহত রাখছি। সামনে আশা করছি ফলন আরো বৃদ্ধি পাবে এবং তুলার দামও বৃদ্ধি পাবে। কৃষকদের ভালো লাভ হবে।