![Daily Nabochatona](https://dailynabochatona.com/wp-content/uploads/2023/01/31BwAd3.png)
দিনাজপুরের খানসামা উপজেলা কমিটি গঠন নিয়ে স্থানীয় বিএনপিতে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। দীর্ঘ দিন ধরেই নেই পূর্ণাঙ্গ কমিটি। এমনকি কাউন্সিলও হচ্ছে না এ ইউনিটে। এ কারনেই বাড়ছে অভ্যন্তরীণ কোন্দল। কেন্দ্র থেকে মীমাংসার জন্য কমিটি গঠন করা হলেও বিভেদ কমছে না নেতাকর্মীদের। ফলে চলমান আন্দোলন-সংগ্রামে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে বলে মনে করছেন দলের সিনিয়র নেতারা। ২০২০ সালের ২ ফেব্রুয়ারি উপজেলা বিএনপির পুর্নাঙ্গ কমিটি ভেঙ্গে দিয়ে তিন মাসের জন্য আহবায়ক কমিটি গঠন করেন, তৎকালীন জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক রেজিনা ইসলাম। সেই কমিটিতে আমিনুল হক চৌধুরী (বিএসসি) কে আহ্বায়ক করে ৩১ সদস্যের আহবায়ক কমিটি ঘোষণা করেন। আর সেই তিন মাসের কমিটি পার করে দিয়েছে চারটি বছর। এর পরও সম্পন্ন হয়নি ইউনিট কমিটিগুলো। এছাড়াও উপজেলা বিএনপির দুটি সক্রিয় গ্রুপ রয়েছে। তারা বিভিন্ন সভা, সেমিনার, দিবস, প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ইত্যাদি পৃথকভাবে পালন করে থাকে। এর আগে ২০২২ সালের ৩ সেপ্টেম্বর প্রায় ৮ বছর পর ডাকা উপজেলা বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশে সাবেক এমপি আখতারুজ্জামান মিয়া ও জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি শিল্পপতি মো. হাফিজুর রহমান সরকার দুই গ্রুপের সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এতে পণ্ড হয়ে যায় তৎকালীন বিক্ষোভ সমাবেশটি। তৃণমূলের নেতাকর্মী বলছেন, কমিটি গঠন নিয়ে দলের উপজেলা নেতৃত্ব আন্তরিক নয়। দলের তৃণমূলের প্রভাবশালী নেতাদের হস্তক্ষেপে এবং অনেক ক্ষেত্রে তাদের সৃষ্ট কোন্দলের কারণে কমিটি গঠন সম্ভব হচ্ছে না। এতে বিতর্ক তৈরি হচ্ছে; সঙ্গে বাড়ছে কোন্দলও। উপজেলা বিএনপির আহবায়ক আমিনুল হক চৌধুরী (বিএসসি) বলেন, আমি দীর্ঘদিন দল করেছি, এখন না করলেও চলবে। আহবায়ক কমিটি ৮-১০ বছর পর্যন্ত যায়, এগুলোর কোন নিয়ম নাই। ধান্দাবাজ লোক দিয়েই চলছে বিএনপি, এজন্যই বিএনপি’র এই দুর্দশা। সামনে আরো বিএনপি’র দুর্দশা রয়েছে। জেলা বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. মোকাররম হোসেন বলেন, ‘উপজেলা বিএনপি চায় পূর্নাঙ্গ কমিটি গঠন করা হোক। দুই গ্রুপে নেতাকর্মীরা চায় তাদের পছন্দের ব্যক্তি নেতৃত্ব দিক। আমরা চাই, যে আসবে সে তার যোগ্যতার ভিত্তিতে আসবে, স্বচ্ছ ব্যক্তি আসবে। তবে আমাদের এখনো কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। সিদ্ধান্ত হলে জানানো হবে। খুব শীঘ্রই কমিটি হওয়ার সম্ভাবনা নেই।’