প্রথমবারের মত দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ জয়ের সুযোগ হাতছাড়া করলো বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল। গতরাতে সিরিজ নির্ধারনী তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকা নারী দলের কাছে ২১৬ রানের বড় ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ। ওয়ানডেতে এটিই বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় হার। আগেরটি ছিল ২০১৮ সালে কিম্বার্লিতে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ১৫৪ রানের । এই জয়ে তিন ম্যাচের সিরিজ ২-১ ব্যবধানে জিতলো দক্ষিণ আফ্রিকা।
সিরিজের প্রথম ওয়ানডে ১১৯ রানে জিতেছিলো বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ম্যাচ ৮ উইকেটে জিতে সিরিজে সমতা আনে দক্ষিণ আফ্রিকা। ১-১ সমতা নিয়ে বেনোনিতে সিরিজ নির্ধারনী ম্যাচে টস হেরে প্রথমে বোলিং করতে নামে বাংলাদেশ।
ব্যাটিংয়ে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ২৫৩ বলে ২৪৩ রানের সূচনা এনে দেন দুই ওপেনার অধিনায়ক লরা উলভার্ট ও তাজমিন ব্রিটস। ওয়ানডেতে যেকোন উইকেট জুটিতে সর্বোচ্চ রান দক্ষিণ আফ্রিকা নারী ক্রিকেট দলের। বাংলাদেশের বিপক্ষেও যেকোন উইকেটে এটি সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড।
৪৩তম ওভারের প্রথম বলে দক্ষিণ আফ্রিকার রেকর্ড জুটি ভাঙ্গেন পেসার মারুফা আকতার। ওয়ানডে ক্যারিয়ারের পঞ্চম সেঞ্চুরির স্বাদ নেওয়া উলভার্টকে ১২৬ রানে আউট করেন মারুফা। আউট হওয়ার আগে ১৩৪ বল খেলে ১৩টি চার ও ১টি ছক্কার ইনিংস খেলেন উলভার্ট।
পরের ওভারে ব্রিটসকে শিকার করেন আরেক পেসার রিতু মনি। প্রথম সেঞ্চুরির ইনিংসে ৮টি চার ও ২টি ছক্কায় ১২৪ বলে ১১৮ রান করেন ব্রিটস।
দলীয় ২৫১ রানের মধ্যে দুই ওপেনারের বিদায়ের পর শেষদিকে আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৪ উইকেটে ৩১৬ রানের বড় সংগ্রহ এনে দেন অ্যানেকে বোশ ও সুনে লুস।বোশ ১৯ বলে অপরাজিত ২৮ ও লুস ১৭ বলে ৩৪ রান করেন। বাংলাদেশের রাবেয়া খান ২টি, মারুফা ও রিতু ১টি করে উইকেট নেন।
৩১৭ রানের বিশাল টার্গেটে খেলতে নেমে দলী ২৮ রানেই ৪ উইকেট হারিয়ে শুরুতেই বিপদে পড়ে বাংলাদেশ। প্রথম চার ব্যাটারের কেউই দুই অঙ্কের কোটা স্পর্শ করতে পারেননি।
শুরুর ধাক্কা মিডল অর্ডার ব্যাটাররা সামলে উঠতে না পারলে ৩১ দশমিক ১ ওভারে ১০০ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩৩ রান করেন রিতু। এছাড়া ফাহিমা খাতুন ১৫ ও নাহিদা আকতার ১১ রান করেন।
দক্ষিণ আফ্রিকার ন্যাডাইন ডি ক্লার্ক ও আয়াবঙ্গা খাকা ৩টি করে উইকেট নেন। ম্যাচ সেরা হন ব্রিটস।
ওয়ানডের আগে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ ১-১ সমতায় শেষ করেছিলো বাংলাদেশ ও দক্ষিণ আফ্রিকা নারী দল।