হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর লক্ষ্য নিয়ে আগামী শনিবার নেপিয়ারের ম্যাকলিন পার্কে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় শুক্রবার দিবাগত ভোর ৪টায়।
বৃষ্টি বিঘিœত প্রথম ওয়ানডেতে ৪৪ রানে হারের পর দ্বিতীয় ম্যাচে সৌম্য সরকারের মহাকাব্যিক ১৬৯ রানের পরও ৭ উইকেটে পরাজয় বরণ করতে হয় বাংলাদেশকে।
সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচ হেরে যাওয়ায়, নিউজিল্যান্ডের মাটিতে ওয়ানডেতে বাংলাদেশের হারের সংখ্যাটা ১৮তে পৌঁছে গিয়েছে। ২০২৭ সাল পর্যন্ত এফটিপিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে আর কোন সিরিজ না থাকায় তৃতীয় ওয়ানডেই হবে কিউইদের বিপক্ষে বাংলাদেশের হারের বৃত্ত ভাঙার শেষ সুযোগ। সেটি করতে পারলে নিউজিল্যান্ডের কাছে হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর পাশাপাশি টানা পঞ্চম হারের লজ্জা থেকে রক্ষা পাবে টাইগাররা।
বিশ্বকাপের আগে বাংলাদেশের মাটিতে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজ ২-০ ব্যবধানে জিতেছিলো নিউজিল্যান্ড।
টপ অর্ডারের ব্যর্থতায় দুই ম্যাচেই হারের লজ্জা পায় বাংলাদেশ। বৃষ্টি বিঘিœত প্রথম ম্যাচে ২৪৫ রান তাড়া করতে নেমে ৯২ রানের মধ্যে ৪ উইকেট হারায় টাইগাররা। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৮০ রানে বাংলাদেশের চার ব্যাটার সাজঘরে ফিরে । ব্যাটিং বিপর্যয়ের পর ১৫১ বলে ১৬৯ রানের রেকর্ড গড়া ইনিংস খেলে বাংলাদেশকে লড়াইয়ে ফেরান সৌম্য। ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে ৭ উইকেটে ২৯১ রানের সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ।
ব্যাট হাতে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত, লিটন দাস এবং তাওহিদ হৃদয়। অখচ মিডল অর্ডারে তাদের উপরই সবচেয়ে বেশি প্রত্যাশা ছিল বাংলাদেশের।
মিডল অর্ডার ব্যাটাররা ব্যর্থ না হলে শেষ দুই ম্যাচেই ভালো কিছু করতে পারতো বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচে ব্যর্থ হলেও দ্বিতীয় ম্যাচে ৬৭ রানের ইনিংস খেলে ফর্মে ফিরেন ছয় নম্বরে ব্যাট হাতে নামা মুশফিকুর রহিম।
নিউজিল্যান্ডের কন্ডিশনে যেখানে সবসময় লড়াই করতে হয় এশিয়ার দলগুলোকে, সেখানে ম্যাচ জয়ের জন্য ব্যক্তিগত পারফরমেন্স খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
নিউজিল্যান্ডে হতাশাজনক পারফরমেন্স থেকে বের হয়ে আসতে দলীয় প্রচেষ্টার উপর জোর দিয়ে ছিলেন বাংলাদেশ দলপতি শান্ত। প্রথম ম্যাচের পর তিনি বলেছিলেন, ‘এটা সত্যিই হতাশাজনক। আমরা শুরুতেই কয়েকটি উইকেট হারিয়েছি, এজন্য আমাদের মূল্য দিতে হয়েছে। আমাদের ভালো দল ছিল, কিন্তু আমাদের বোলাররা ভালো বল করতে পারেনি।’
ওয়ানডের পর তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ ও নিউজিল্যান্ড।
বাংলাদেশ দল : নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), মেহেদি হাসান মিরাজ (সহ-অধিনায়ক), তানজিদ হাসান তামিম, আনামুল হক বিজয়, তাওহিদ হৃদয়, মুশফিকুর রহিম, লিটন দাস, আফিফ হোসেন ধ্রুব, সৌম্য সরকার, মুস্তাফিজুর রহমান, শরিফুল হাসান, তানজিম হাসান সাকিব, হাসান মাহমুদ, রিশাদ হোসেন ও রাকিবুল হাসান।
নিউজিল্যান্ড দল : টম লাথাম (অধিনায়ক), ফিন অ্যালেন, টম ব্লান্ডেল, মার্ক চাপম্যান, জশ ক্লার্কসন, জ্যাকব ডাফি, কাইল জেমিসন, এডাম মিলনে, হেনরি নিকোলস, উইল ও’রউর্ক, রাচিন রবীন্দ্র, আদি অশোক এবং উইল ইয়ং।