![Daily Nabochatona](https://dailynabochatona.com/wp-content/uploads/2023/01/31BwAd3.png)
সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৭০ এর নির্বাচনে জয়যুক্ত হয়েও পাকিস্তানের শাসনভার গ্রহণ করতে পারে নাই বরঞ্চ পাকিস্তানী সামরিক শাসক ইয়াহিয়া খান নিরস্ত্র বাঙালিদের উপর যুদ্ধ চাপিয়ে দেয়। এই যুদ্ধের প্রতিবাদে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৭১ সালের ২৬ মার্চ স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। এই ঘোষণাকে সমর্থন দিয়ে ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধী ৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ সনে স্বাধীন বাংলাদেশ হিসেবে স্বীকৃতি দেন। এই দিবসটি বাংলাদেশের জনগণ ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী দিবস হিসেবে পালণ করে আসছে। তাই দিবসটি স্মরণে আজ বাংলাদেশ জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগ বিকাল ৪ ঘটিকার সময় জাতীয় প্রেসক্লাব চত্ত্বর ঢাকায় এক সমাবেশের আয়োজন করেছে। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগের সভাপতি এম.এ জলিল। সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক ড. নিম চন্দ্র ভৌমিক, সাবেক রাষ্ট্রদূত। প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদের সভাপতি লায়ন গনি মিয়া বাবুল। বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা বিশিষ্ট সাংবাদিক আজিজুল ইসলাম ভূইয়া, কাজী আরেফ ফাউন্ডেশনের সভাপতি কাজী মাসুদ আহমেদ, বরিশাল বিভাগ সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ.স.ম মোস্তফা কামাল, বাংলাদেশ উন্নয়ন পার্টির সভাপতি সৈয়দ মোখলেছুর রহমান, ন্যাপ ভাসানীর সভাপতি স্বপন কুমার সাহা, বঙ্গবন্ধু জুলিও কুরি শান্তি পরিষদের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আজিজুল হক, শ্রমিক নেতা নাসির উদ্দিন, জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগের সহ সভাপতি মোহাম্মদ আলী, সাধারণ সম্পাদক সমীর রঞ্জন দাস ও দপ্তর সম্পাদক কামাল হোসেন। প্রধান অতিথির ভাষণে অধ্যাপক নিম চন্দ্র ভৌমিক বলেন, যখন বাঙালিরা ঐক্যবদ্ধ এবং বাঙালিদের নেতা শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বৃকৃতি দিয়ে ৭০’র নির্বাচনে জয়যুক্ত হয়েছেন সেই মুহুর্তে পাকিস্তানী শাসক ইয়াহিয়া খান বাঙালিদের নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর না করে নিরস্ত্র বাঙালিদের উপর যুদ্ধ চাপিয়ে দেন। এই মুক্তিযুদ্ধের সময় ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়। এই স্বীকৃতি দিবসকে বাঙালিা ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী দিবস হিসেবে পালন করে আসছে। আমরা বলতে চাই ভারত-বাংলা মৈত্রী অটুট হোক, বন্ধুত্ব সুদৃঢ় হোক। ভারত-বাংলাদেশের বন্ধুত্বই পারে দুই দেশের উন্নয়ন-সমৃদ্ধি দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে। আসুন আমরা সবাই বাঙালি জাতি ঐক্যবদ্ধ হই, আগামী সংসদ নির্বাচনে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার শক্তি আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনাকে সমর্থন দেই এবং তার হাতকে শক্তিশালী করি। এই ঐক্যই পারে আগামীদিনে উন্নত-সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ গড়তে। গনি মিয়া বাবুল বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারত ও রাশিয়া আমাদেরকে সমর্থন ও সাহায্য করেছে বলেই আমরা অল্প সময়ের মধ্যেই দেশ স্বাধীন করেছি। এখন আমাদের একটি মাত্র কাজ বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সোনার বাংলা, শেরে বাংলা, সোহরাওয়ার্দী, ভাসানী, তাজ উদ্দিন আহমেদের আকাঙ্খিত বাংলাদেশ গড়া। এই বাংলাদেশ গড়তে হলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার গণতান্ত্রিক শক্তির ঐক্য চাই। দেশকে বিশ^মানের আধুনিক বাংলাদেশ হিসেবে গড়তে চাই। এম.এ জলিল বলেন, ভারত বাংলাদেশের বন্ধুত্ব সুদৃঢ় হোক এবং এই বন্ধুত্বের মাধ্যমেই উপমহাদেশের শান্তি শৃঙ্খলা এবং গণতান্ত্রিক উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে পরিচালিত হোক এই দেশের বন্ধুত্বই পারে দেশকে শান্তি দিতে।