গত পনের বছরে সরকারের দুর্নীতির বিষ প্রয়োগ বর্তমানে জনগণের উপর দিয়ে যাচ্ছে এমন মন্তব্য করে ১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ বলেছেন, দেশের অর্থনীতি এখন ধ্বংসের চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌছেছে। যে কোন সময় দেশ অর্থনীতির আকালে পরিনত হবে। অর্থনীতির এমন পরিস্থিতির জন্য দায়ী সরকারি দলের এমপি-মন্ত্রী, নেতাকর্মী ও আমলাদের বেপরোয়া লুটপাট ও অর্থপাচার এবং কখনো কখনো বিরোধী দলের উপর দমন-পীড়নের অতিরিক্ত অর্থের অপচয় ছিলো বর্তমান অর্থনীতির দূরাবস্থার প্রধান কারণ। বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাব থেকে বিজয় নগর ঘুরে পল্টন মোড় “শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের দাবীতে হরতালের সমর্থনে বিক্ষোভ মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন। এসময় জোটের মুখপাত্র শাহাদাত হোসেন সেলিম বলেন, এই সরকার জনগণের উপর যে জুলুম নির্যাতন চালিয়েছে। যেভাবে বিরোধী নেতাকর্মীদের উপর মামলা-হামলা চালাচ্ছে। যেভাবে গুম-খুন চালিয়ে যাচ্ছে সুতরাং এই সরকারকে পালাবার কোন সুযোগ দেওয়া হবে না। দেশের প্রচলিত আইনে, দেশের মাটিতেই এই সরকারের বিচার করা হবে। জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য নওয়াব আলী আব্বাস খান বলেন, সরকার জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। মিথ্যা মামলা দিয়ে সারাদেশে গণগ্রেফতার অভিযান অব্যাহত রেখেছে। শত শত নেতাকর্মীদের সাজা দিয়ে কারাগারে আটক রেখেছে। এই আন্দোলনের মাধ্যমে সকল কারাবন্দীদের মুক্ত করা হবে। জোটের প্রধান সমন্বয়ক রাশেদ প্রধান বলেন, এই জালীম সরকার রাষ্ট্র ও জনগণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। জনগণের মতের বিরুদ্ধে ফরমায়েশি তফসিল দিয়ে মানুষের অধিকার হরণের চূড়ান্ত পথে সরকারের অবস্থান। আমরা স্পষ্ট ভাষায় সরকারকে বলে দিতে চাই। অবিলম্বে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করুন অন্যথায় সকল পরিস্থিতির জন্য আপনাকে দায়ী নিতে হবে এবং আপনার বিচার বাংলার মাটিতেই হবে। বিক্ষোভ মিছিল সংক্ষিপ্ত সমাবেশ বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক এমপি নওয়াব আলী আব্বাস খান, ১২ দলীয় জোটের মূখপাত্র ও বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি-জাগপার সহ-সভাপতি ও ১২ দলীয় জোটের প্রধান সমন্বয়ক রাশেদ প্রধান, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান, লায়ন মো. ফারুক রহমান, বাংলাদেশ জাতীয় দলের ভাইস চেয়ারম্যান শামসুল আহাদ, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামী বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আব্দুল মালিক চৌধুরী।