কেএমপি, খুলনার বয়রাস্থ পুলিশ লাইন্স মাল্টিপারপাস হলে গত শনিবার খুলনা মহানগর কমিউনিটি পুলিশিং ফোরাম এবং খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ এর ব্যাপক আয়োজনের মধ্যদিয়ে কমিউনিটি পুলিশিং ডে-২০২৩ উদযাপিত হয়। উক্ত কমিউনিটি পুলিশিং ডে উপলক্ষে সকালে নগরীর বয়রা বাজার মোড় হতে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি শুরু হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে কেএমপি’র বয়রাস্থ পুলিশ লাইন্সে এসে শেষ হয়। অতঃপর বেলুন ও ফেস্টুন ও উড্ডয়নের মধ্যে দিয়ে কমিউনিটি পুলিশিং ডে-২০২৩ এর শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করা হয়। উক্ত অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন প্রধান অতিথি হিসেবে খুলনার সিটি মেয়র আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেক ও খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোঃ মোজাম্মেল হক, বিপিএম (বার), পিপিএম-সেবা। পবিত্র কুরআন তেলাওয়াত, ভগবত গীতা পাঠ এর মধ্য দিয়ে কমিউনিটি পুলিশিং ডে-২০২৩ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত বিশেষ আলোচনা সভার কার্যক্রম শুরু হয়। আলোচনা সভার শুরুতে অনুষ্ঠানের সভাপতি মান্যবর খুলনার মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোঃ মোজাম্মেল হক, বিপিএম (বার), পিপিএম-সেবা মহোদয়ের উপস্থিতে সকলকে সালাম ও শুভেচ্ছা জানিয়ে বক্তব্য প্রদান করেন। এ সময়ে কেএমপি কমিশনার তিনি তার বক্তৃতায় বলেন, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালির ইতিহাসের মহানয়ক ও স্বাধীনতা যুদ্ধের মহান স্থপতি বাঙ্গালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট স্বাধীনতার শত্রুদের ঘাতকের নির্মম বুলেটের আঘাতে শহীদ হন। এ সময়ে তিনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তার পরিবারের সকল শহীদের আত্মার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন ও রুহের মাগফিরাত কামনা করেন। একই সাথে ১৯৭১ সালের ২৫ শে মার্চের প্রথম প্রহরে মুক্তিযুদ্ধের প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ যুদ্ধে শহীদ সকল পুলিশ সদস্যসহ ত্রিশ লক্ষ শহীদ মুক্তিযোদ্ধার আত্মার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন ও সকলের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন। পুলিশ কমিশনার মহোদয় তার বক্তব্যে বলেন, পুলিশের সঙ্গে জনগণের সম্পৃক্ততা বৃদ্ধি ও অপরাধ দমনের অন্যতম কৌশল হিসেবে কমিউনিটি পুলিশিং বিশেষ ভূমিকা পালন করে চলেছে। ২০১৩ সালে স্বল্প পরিসরে পুলিশ সদরদপ্তরের উপ-মহাপরিদর্শক ডিআইজি অপারেশনের অধীনে পৃথক শাখা হিসেবে কাজ শুরু করেছিল কমিউনিটি পুলিশিং এর কার্যক্রম। ২০১৪ সালে একজন সহকারি মহাপরিদর্শক এআইজির তত্ত্বাবধানে পাবলিক সেফটি অ্যান্ড প্রিভেনশন শাখার কার্যক্রম শুরু হয়। এটিই এখন কমিউনিটি অ্যান্ড বিট পুলিশিং নামে দেশব্যাপী কার্যক্রম পরিচালনা করছে। বর্তমানে খুলনা মহানগরী এলাকায় ১০২টি কমিটিতে মোট ১ হাজার ৮০৫ জন কমিউনিটি পুলিশের সদস্য হিসেবে কাজ করছে। তাদের কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে ওপেন হাউজ ডোর এর মাধ্যমে স্থানীয় সমস্যা নিয়ে মতবিনিময় সভা, পুলিশের কাজে সহযোগিতা ও বাল্য বিবাহ রোধ, ইভটিজিং প্রতিরোধ, জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাস দমন, মাদকের কুফল, নারী নির্যাতন, যৌতুক নিরোধ, মোবাইল ফোনের অপব্যবহার এবং সামাজিক মূল্যবোধ সংক্রান্তে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। এ সকল কার্যক্রমের মাধ্যমে সমাজে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড কমিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে। তিনি আরোও বলেন, বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শিতায় পুলিশ এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি বেগবান ও পেশাদার, স্মার্ট এবং সক্ষম একটি বাহিনী। খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ শান্তিকামী মানুষের নির্বিঘ্নে চলাচল, জীবন জীবিকা পরিচালনা করায় সহায়তা ও নিরাপত্তা দিতে বদ্ধপরিকর।