চট্টগ্রাম নগরীর বিভাগীয় ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবির) র ডিলারদের মধ্যে পন্য সমগ্রী সরবরাহ নিয়ে অনিয়ম ও ডিলার মোশারফ এন্টার প্রাইজ এর নামে একক আধিপত্য বিস্তারের অভিযোগ উঠেছে। মোশারফ এন্টার প্রাইজ এর নামে একটি দোকানে তিন টি প্রতিষ্ঠানের সাইন বোর্ড ব্যবহার করে টিবিসির ন্যায্য মূল্যের পন্য সামগ্রী বাহিরে খোলা বাজারে বিক্রি করেছে। টিসিবির নিত্য প্রয়োজনীয় পন্য চাল , ডাল সয়বিন তৈল সাধারন মানুষের মাঝে সকাল দশটা থেকে দুপুর পর্যন্ত বিক্রয়ের নিয়ম থাকলে ও তা সন্ধার পরে রাতের আধারে অল্প সংখক ক্রেতার মাঝে বিক্রি করেছে বলে জানা যায়। যা টিসিবির পন্য সমাগ্রী বিতরন আইনে সম্পূর্ন রুপে বে-আইনী। যার কারনে অসাধু ডিলার ব্যবসায়ী রা প্রতি মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা অবৈধ ভাবে আয় করছে। চট্টগ্রাম নগরীর ৪১ টি ওয়ার্ডের টিসিবি’র পন্য ইপিজেড থানার বিভাগীয় ভবন /কার্যালয় থেকে বিতরন করা হয় । যার মধ্যে ৩৯ নং ওয়ার্ড থেকে ৯ হাজার পরিবারের মাঝে এ নিত্য প্রয়েজনীয় পন্য সমগ্রী ৫ কে.জি চাউল ২ কে.জি ডাল, ২ লিটার সয়বিন তৈল মোট ৪৭০ টাকা মূল্যে বিতরন করা হয়।কিš‘ সেন্ডিকেটের মাধ্যমে সরকারী নিয়ম অনুযায়ী পন্য সামগ্রী বিক্রয় হয় না। ৩৯ নং ওয়ার্ডের বিভিন্ন খুচরা দোকানে টিসিবির পন্য সামগ্রী অবাধে বেশি মূল্যে বিক্রি করেছে। তথ্যানুসন্ধানে জানা যায় নগরীর বন্দরটিলা এলাকার পিছনে আলীশাহ পাড়ার বিভিন্ন দোকানে টিসিবির পন্য সামগ্রী বিক্রি হয়। নামে মাত্র দুই এক ঘন্টা বিক্রি করে সিন্ডিকেটের ডিলারেরা অধিক মুনফা লক্ষ লক্ষ টাকা অবৈধ ভাবে আয় করার জন্য রাতের আধারে বিক্রি করছে । উল্লেখ ¯’ানীয় কাউন্সিলররা নিজেদের মনোনীত ডিলারদের মাঝে টিসিবির পন্য সামগ্রী দেওয়ার সুপারিশ কারী যার কারনে টিসিবির পন্য সামগ্রী বিতরনে অনিয়মের অভিযোগ দিনের পর দিন বেড়ে চলছে। একজন ডিলারের ২ হাজার চারশত পরিবারের মাঝে টিসিবির পন্য সমগ্রী বিতরনের নিয়ম থাকলেও দি”েছ ছয়শত পরিবারের মাঝে দেয়া হয় এ বিষয়ে ৫ঘন্টা লাইনে দাড় করিয়ে দেওয়ার সময় লাগলেও তা সন্ধা ৬টা থেকে রাত্র ৮টা পর্যন্ত দুই ঘন্টার মধ্যে টিসিবির পন্য গ্রাহকদের অল্প সময়ের মাঝে বিতরন করে । বাকি পন্য গোডাউন রাখা হয়। এ বিষয়ে টিসিবির চট্টগ্রামের সহকারী পরিচালক মোঃ হাবিবুর রহমান জানান, কোন ডিলারের ব্যপারে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ অনৈতিক দূর্নীতির পেলে তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।