
মানুষের স্বাস্থ্যসেবা সচল রাখার জন্য ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার মেগচামী ইউনিয়নের নরকোনা(রুপসী) কমিউনিটি ক্লিনিক। ফলে এই ক্লিনিকে বন্ধ রয়েছে স্বাস্থ্য সেবা প্রদান। এতে করে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন ইউনিয়নের প্রত্যন্ত কয়েকটি গ্রামের ৬ হাজার মানুষ। স্থানীয় সূত্রে জানা যায় প্রায় ১০বছর আগে প্রতিষ্ঠিত হয় নরকোনা কমিউনিটি ক্লিনিক। এই ক্লিনিকের স্বাস্থ্য সেবার ওপর নির্ভরশীল নরকোনা, বনগ্রাম, শান্তিপুর, বাসুখালী, গোপীনাথপুর, মেগচামীসহ কয়েকটি প্রত্যন্ত গ্রামের নারী-পুরুষরা। এখানে নারীদের গর্ভকালীন, প্রসবকালীন, শিশুস্বাস্থ্য, পুষ্টি ও পরিবার পরিকল্পনা সহ বিভিন্ন স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার কথা। কিন্তু পাচঁ ও ছয় মাস ধরে এসব কার্যক্রম বন্ধ। বুধবার নরকোনা কমিউনিটি ক্লিনিকে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কমিউনিটি ক্লিনিকটি তালাবদ্ধ। এ সময় সেবা না পেয়ে ফিরে যেতে দেখা যায় ৩৫ বছর বয়সী বিজন নামের এক পুরুষকে । ক্লিনিকের বিষয়ে কথা হলে বিজন বলেন, ‘টানা দুই দিন এসেছি। দুই দিনই ফিরে যেতে হয়েছে। যদি ক্লিনিক বন্ধই থাকে তাহলে এর দরকারটা কি।’ স্থানীয় মিতুল বলেন, ‘ক্লিনিকটি শুধুমাত্র শিশুদের টিকা দেওয়ার জন্য খোলা হয়। বাকি সময় বন্ধ থাকতে দেখি। এতে দূর-দূরান্ত থেকে সেবা নিতে আসা লোকজন হতাশ হয়ে ফিরে যান।’এ ব্যাপরে ইউ.পি. সদস্য সনৎ কুমার দাস বলেন আমাদের ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম থেকে আসা প্রায় ৬হাজার নারী-পুরুষ চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত বলে ধারনা করা হয়। তাছাড়া এককর্মী সপ্তাহে একদিন আসে সেবা দিতে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পরিপত্র অনুযায়ী, কমিউনিটি ক্লিনিকে হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার না থাকলে স্বাস্থ্য সহকারী ও পরিবার কল্যাণ সহকারীরা সেখানে সপ্তাহে ছয়দিন কাজ করার কথা। শুধু মাত্র টিকাদান ছাড়া এই ক্লিনিকে সেই বিষয়টিও নিশ্চিত করেনি স্বাস্থ্য বিভাগ। এ ব্যাপারে স্থানীয় সূত্রে আরও জানা যায় সপ্তাহে একদিন আসে পলি নামের এক কর্মী। তারা আরও বলেন এর আগে কমিউনিটি ক্লিনিক চুরি হয়ে ফ্যান সহ অনেক কিছু নিয়ে গেছে। এ ব্যাপারে থানাকে অবগত করা হয়েছে । তাছাড়া এখানে নেশার আখড়া চলে । এগুলো প্রশাসন দিয়ে প্রতিহত করা দরকার। পাশাপাশি এই ক্লিনিকে বাউন্ডারী অতি জরুরী বলে মনে করেন। মধুখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. ইউসুফ আলী বলেন, আমি বিষয়টি জানলাম অচিরেই উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অবগত করে সমস্যা সমাধান করা হবে।