জাতীয় নির্বাচন আসলেই বিএনপি-জামায়াতের মাথা নষ্ট হয় এমন মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন।
সোমবার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের ২৬তম বার্ষিক সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন তিনি।
মেয়র লিটন বলেন, ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগের বিপুল ভোটে জয় এবং এই জোটের পরাজয় হওয়ার পর থেকে তারা নির্বাচনে আসতে চায় না। সরকারকে পদত্যাগ করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দেয়ার কথা তারা বলেন। তাছাড়া তারা নির্বাচন হতে দেবে না। আমার আপত্তি জাগে, নির্বাচন করবেন কিনা সেটা তাদের বিষয়, কিন্তু গণতান্ত্রিক দেশে নির্বাচন হতে দেবে না এ কথা মেনে নেয়া যায় না। এদেশ তাদের পৈতৃক সম্পত্তি নয়। বরং আওয়ামী লীগ এটা দাবি করতে পারে। কারণ আওয়ামী লীগ যুদ্ধ করে এদেশ স্বাধীন করেছে। এতে ছাত্রলীগের অগ্রণী ভূমিকা ছিল।
রাসিক মেয়র আরও বলেন, ছাত্রলীগের ইতিহাস বাংলাদেশের ইতিহাস। তাই বঙ্গবন্ধুর স্লোগানের পাশাপাশি ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বেশি বেশি জানতে হবে ও গবেষণামুখি হতে হবে। আজ বঙ্গবন্ধু কন্যার হাত ধরে দেশ উন্নত হয়েছে, এটা অনেক দেশ মানতে চায় না। তারা ঈর্ষা করে। আগামী ২০৪১ সালের মধ্যে দেশরত্ন শেখ হাসিনার হাত ধরে বাংলাদেশ উন্নয়নের চূড়ান্ত লক্ষ্য পৌঁছাবে। আওয়ামী লীগের এ সাফল্য দেখে বিএনপি-জামায়াত নির্বাচনে আসতে চায় না। কারণ তারা জানে, দেশের মানুষের কাছে তাদের গ্রহণযোগ্য নেই। ফলে নির্বাচন বানচাল করতে দেশে তারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে। কিন্তু ছাত্রলীগকে সজাগ থাকতে হবে।
শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়ার সভাপতিত্বে সম্মেলনে বক্তব্য দেন জয়পুরহাট-২ আসনের সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালি আসিফ ইনান, আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক উপ কমিটির সদস্য ডা. আনিকা ফারিহা জামান অর্ণা প্রমুখ।
এ সময় কেন্দ্রীয় ও শাখা ছাত্রলীগের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।