ফরিদপুর জেলার বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিক সমূহে অনিবন্ধিত ভুয়া নার্স দিয়ে নার্সিং সেবা দেওয়ার নামে প্রতারণা ও স্বাস্থ্য সেবায় সকল প্রকার দুর্নীতি বন্ধের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সিভিল সার্জন অফিসের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালিত হয়েছে। এক পর্যায়ে শিক্ষার্থীরা ভালো কোন সদুত্তর না পেয়ে সিভিল সার্জন অফিসে তালাবদ্ধ করলে তাৎক্ষনিক সিভিল সার্জন অফিস কর্তৃক শিক্ষার্থীদের নিয়ে কয়েকটি হাসপাতালে অভিযান পরিচালোন করে নানা অণিয়ম পায়। দেখা যায় রবিবার সকালে জেলার নার্সিং ও মিড ওয়ারি শিক্ষার্থীবৃন্দের উদ্যোগে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হতে এ বিক্ষোভ মিছিলটি বের করে সিভিল সার্জন অফিসের সামনে তারা অবস্থান নেয়। এ সময় তারা ফরিদপুরের দায়িত্বরত ডেপুটি সিভিল সার্জন শাহ মোহাম্মদ বদরুদ্দোজা এর কাছে ফরিদপুরের স্বাস্থ্যসেবার বিভিন্ন দিক তুলে ধরে নানা অনিয়ম এর বিরুদ্ধে তার প্রতিকার দাবি করেন। তারা বলেন ফরিদপুর শহরের বিভিন্ন ক্লিনিকে এবং নার্সিং হোম গুলোতে চিকিৎসা সেবা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই কোনরকম অপেশাদার ও ভুয়া নার্স দিয়ে চিকিৎসা করানো হচ্ছে। যে কারণে প্রকৃত নার্সরা সেবা প্রদান করা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এবং রোগীরা পড়ছে হুমকির মধ্যে, ব্যাহত হচ্ছে স্বাস্থ্যসেবা। তারা বলেন এসব প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন অনিয়ম চলার পর মাঝে মাঝে অভিযান করে বন্ধ করে দেয়া হলেও দুই একদিনের মধ্যে সে প্রতিষ্ঠান আবার চালু হয়ে যায়। এতে প্রকৃতনার্সগন কলকিঙ্কত হচ্ছে। তারা বলেন আমরা ইতো পূর্বে এ ব্যাপারে সিভিল সার্জন এর দৃষ্টি আকর্ষণ করার চেষ্টা করলেও তিনি আমাদের এই জনগুরুত্ব পূর্ণ ব্যাপারটি কে কোন গুরুত্ব দেননি। আর তাই এ সমস্যার সমাধান না হওয়া পর্যন্ত আমরা এখান থেকে যাব না। এরপর তারা তাদের কাঙ্খিত উত্তর না পেয়ে সিভিল সার্জন অফিসের সামনে পকেট গেট তালা বদ্ধ করে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। একর্পর্যায়ে সিভিল সার্জন অফিসের গ ঙ ঈ ঝ ডা. আলামিন সরোয়ার এর নেতৃত্বে একটি টিম বিক্ষুব্দ শিক্ষার্থীদের নিয়ে শহরের মা ও শিশু হাসপাতালসহ সৌদি বাংলা হাসপাতালে অভিযান পরিচালোনা করে। এ সময় দেখা যায়, ১০ বেডের মা ও শিশু হাসপাতালের লাইসেন্স অনাবায়ন সহ ৪ জন অনিবদ্ধিত নার্স এবং বেড সংখ্যা বেশি থাকার কারনের দ্রুত তা ঠিক করতে আল্টিমেটাম দেওয়া হয়। এ ছাড়াও সৌদি বাংলা হাসপাতালটিকে নানা অনিয়মের কারনে সাময়িক বন্ধ ঘোষনা করা হয়। এ বিষয়ে ডা. আলামিন সরোয়ার বলেন, বর্তমান সিভিল সার্জনসহ অফিসের গুরুত্বর্পূনূ ব্যাক্তিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠায় কাউকে বদলি কেউবা অভিযোগের ভিত্তিতে অফিস করছেনা। তবে শহরের এসব হাসপাতালের অনিয়ম বন্ধের দায় ফরিদপুর স্বাস্থ্য বিভাগ এড়িয়ে যেতে পারেনা। এসব অনিয়ম বন্ধের জন্য ফরিদপুর স্বাস্থ্য বিভাগ সর্বচ্চ সতকর্তার সহিত অতিশিঘ্রই এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবে।