
মাদারীপুরের কালকিনিতে পাগলা কুকুরের কামড়ে আহত হয়েছেন কমপক্ষে অর্ধশতাধীক মানুষ ও ৫ টি পশু।এরমধ্যে শিশু শিক্ষার্থী ও বয়স্কদের সংখ্যাই বেশি। গতকাল রোববার সকালে থেকেই কালকিনি উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। বিভিন্ন এলাকা সুত্রে জানা যায়, মাদারীপুরের কালকিনি পৌরসভার কাশিমপুর এলাকার মরিয়ম বেগম (৬৫)। রোববার সকালে কুকুরের কামড়ে আহত হয়ে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন প্রচন্ড ব্যথার যন্ত্রাণায় কাতরাচ্ছেন তিনি। একই অবস্থা আলীনগরের টুমচর এলাকার ২য় শ্রেণির শিক্ষার্থী রূপালী, হালিমা, লাবিবা, কাওসার ও শাহীনসহ ২০ শিক্ষার্থীর। বিদ্যালয়ে যাবার পথে কুকুরের আক্রমণের শিকার হয়ে হাসপাতালে ভর্তি এই ক্ষুদে শিক্ষার্থীরা। পাগলা কুকুর সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত কামড় দিয়ে আহত করেছে অন্তত অর্ধশতাধীক মানুষ সহ ৫ টি পশু। দলে দলে আহতরা ছুটে আসছেন হাসপাতালে। প্রাথমিক চিকিৎসা হচ্ছে রোগীদের। কুকুরে কামড় দিলে প্রাথমিকভাবে ২০-২৫ মিনিট সাবান দিয়ে ক্ষতস্থান ধুয়ে ফেলার পরামর্শ স্বাস্থ্যবিভাগের।মাদারীপুর সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগের মেডিকেল অফিসার ডা. রিয়াদ মাহমুদ জানান, একসাথে ৮-১০টি এলাকায় কুকুরের আক্রমনেএই ঘটনা ঘাটে আহদের মধ্যে ১৪ জনকে কালকিনি সরকারি স্বাস্থ্য কম্পেলেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে বাকিরা মাদারীপুর সদরহাসপাতাল সহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছে, বর্তমানে হাসপাতালের আসন সংকট দেখা দিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে পাগলা কুকুরগুলোকে বন্দি করা না হলে ভয়াবহতা বাড়তে পারে। এলাকা সুত্রে জানা যায় পৌরসভার দক্ষিন রাজদী থেকে এলাকা বাসি ১টি পাগলা কুকুরকে হত্যা করেছে, বর্তমানে এলাকাবাসি পাগলা কুকুরের আতঙ্কে দিনযাপন করছে।