আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক এমপি বলেছেন, যে কোনো আঘাতের বিরুদ্ধে অতীতে যেভাবে মোকাবেলা করেছি আগামীতেও তাই করবো। সরকারের পতন হবে না।
শুক্রবার মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। ‘বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, নৈরাজ্য, অপরাজনীতি ও অব্যাহত দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে’ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এই শান্তি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু আহমেদ মন্নাফি।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, ২০১৩ সালের ৫ মে হেফাজত শাপলা চত্বরে সমাবেশ করেছিল। আমি তখন খাদ্য ও ত্রাণ মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বে ছিলাম। খুব কাছে থেকে দেখেছি। অনেক অনুরোধ করেছিলাম আপনারা এই সমাবেশ শেষ করেন। সেদিন সন্ধ্যাবেলায় সরকারে কাছে খবর এলো, তারা সমাবেশ থেকে উঠে যাবে না। ওই রাতের মধ্যে গণভবন, সচিবালয় ঘেরাও করে তারা সরকারের পতন ঘটাবে। রাত ৮টার দিকে খালেদা জিয়া বিবৃতি দিয়েছিল, বিএনপির নেতা-কর্মীরা হেফাজতের পাশে দাড়াও। স্বৈরাচার এরশাদ ফ্রিজের ঠাণ্ডা পানি ও খাবার নিয়ে হেফাজতের পাশে দাঁড়ালেন। সারা দেশ আতঙ্কগ্রস্ত রাত পার হবে কিনা, তারা গণভবন, সচিবালয় ঘেরাও করবে কিনা। হেফাজতের কে প্রধানমন্ত্রী হবেন? নাকি বিএনপির কাছে দিবে ক্ষমতা? এমনই ছিলো সেদিনের পরিস্থিতি। কিন্তু আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তার দূরদর্শিতা দিয়ে কৌশল নির্ধারণ করেছিলেন। সেদিন মহানগর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা খিলগাঁও, রামপুরা দিয়ে শাপলা চত্বরের চতুর্দিকে ভ্যানগার্ডের মতো দাঁড়িয়ে ছিলো এই ষড়যন্ত্রকারীদেরকে মোকাবেলা করবে বলে। সারা জাতি টেলিভিশনের দিকে তাকিয়ে ছিলো কী হবে এই আতঙ্ক নিয়ে। রাত তিনটার মধ্যে শাপলা চত্বর পরিষ্কার হয়েছিল।
মহানগর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের অভিনন্দন জানিয়ে তিনি বলেন, আপনাদের জন্যই ষড়যন্ত্রকারীদের সকল ষড়যন্ত্র নস্যাৎ হয়েছিল। এখন তারা বিক্ষোভ মিছিল করে বলছে, এটি নাকি মহড়া। অক্টোবরে চূড়ান্ত আঘাত হানবে। আমরাও শপথ নিচ্ছি অতীতে যেভাবে মোকাবেলা করেছি আগামীদিনেও যে কোনো আঘাত সেভাবেই মোকাবেলা করবো।
তিনি আরও বলেন, কিছু কিছু সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, লবিস্ট বিএনপি জামায়াতের টাকা খেয়ে মিথ্যা রিপোর্ট দেয়। অধিকারের আদিলুর রহমান টাকা খেয়ে মিথ্যা রিপোর্ট দিয়ে মানুষের অধিকারের কথা বলে। বিদেশিদেরকে বিভ্রান্ত করে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন বিএনপির ভাষায় আবারও একটি রেজুলেশন নিয়েছে। আমি তাদেরকে আহ্ববান জানাই আপনারা বাংলাদেশে টিম পাঠান।
মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো হুমায়ুন কবিরের সঞ্চালনায় এসময় আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এমপি, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ফজলে শামস পরশ, আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য এডভোকেট সানজিদা খানম, আওয়ামী যুব লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মাইনুল হোসেন খান নিখিল ও মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি ডা. দিলীপ কুমার রায়সহ আরও অনেকে।