ঢাকা শহরের ওপর দিয়ে নির্মিত ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে রাজধানীর যানজট কমে আসবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দ্রুতগতির এ উড়াল সড়ক রাজধানীবাসীর জন্য নতুন উপহার হিসেবে আখ্যায়িত করেন তিনি।
গতকাল শনিবার বিকেলে রাজধানীর শেরেবাংলানগরে পুরাতন বাণিজ্য মেলা মাঠে আয়োজিত সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের বিমানবন্দর থেকে ফার্মগেট অংশের শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী।
এর আগে বেলা সাড়ে তিনটায় রাজধানীর কাওলাতে বহুল কাঙ্ক্ষিত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের বিমানবন্দর থেকে ফার্মগেট অংশের উদ্বোধন করেন সরকারপ্রধান। পরে টিকিট কেটে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে ফার্মগেটে নামেন সরকারপ্রধান।
এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠকন্যা শেখ রেহানা, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম, ঢাকা-১৮ আসনের সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সভাপতিত্বে সুধী সমাবেশে যোগ দিয়েছেন সরকারের প্রায় সব মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রীরা। এছাড়া সরকারের সচিব ও বিভিন্ন পর্যায়ের আমলারাও এই সমাবেশে অংশ নিয়েছেন। একই সঙ্গে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রকল্প পরিচালক সাখাওয়াত হোসেনসহ সংশ্লিষ্টরা যোগ দেন।
সরকারের এই অর্জনকে স্মরণীয় করে রাখতে সুধী সমাবেশে যোগ দিয়েছেন আওয়ামী লীগ ও এর প্রতিটি ভ্রাতৃপ্রতীম ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
আজ রোববার ভোর থেকে এটি যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে। ৬০ কিলোমিটার গতির একটি গাড়ি মাত্র ১০ মিনিটে কাওলা থেকে ফার্মগেট পৌঁছাতে পারবে বলে আশা করা হচ্ছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, প্রতিদিন প্রায় ৮০ হাজার যানবাহন ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে যেতে পারবে। এক্সপ্রেসওয়েটি রাজধানীর যানজট এবং যাতায়াতের খরচ অনেকাংশে কমিয়ে দেবে। এটি সম্পূর্ণভাবে নির্মাণ হলে রাজধানীর কাওলা থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালীতে যাওয়া যাবে অল্প সময়ে।
উল্লেখ্য, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের মোট দৈর্ঘ্য ১৯.৭৩ কিলোমিটার। হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছে কাওলা থেকে রেললাইন ধরে তেজগাঁও, মগবাজার, কমলাপুর হয়ে যাত্রাবাড়ীর কাছে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালীতে গিয়ে শেষ হবে এই উড়ালসড়ক। আপাতত ফার্মগেট পর্যন্ত চালু হয়েছে। বাকি অংশের কাজও দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে। ২০১১ সালে নেওয়া এই প্রকল্পের কাজ ২০২৪ সালের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।