আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় সারাদেশের ন্যায় কিশোরগঞ্জে ২৪৮৩টি আশ্রয়ণের ঘর প্রদান করা হয়েছে। জেলার তেরটি উপজেলার মধ্যে ১১টি উপজেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীন ঘোষণা করা হয়েছে। ২টি উপজেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত ঘোষণা করার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। শুক্রবার সকালে (১,সেপ্টেম্বর) কিশোরগঞ্জ জেলার আশ্রয়ন প্রকল্প পরিদর্শন করেছেন,আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক (যুগ্মসচিব) আবু ছালেহ মোহাম্মদ ফেরদৌস খান। প্রথমে তিনি জেলা সদরের যশোদল ইউনিয়নের দামপাটুলী আশ্রয়ণ প্রকল্পের বিভিন্ন ঘর ও আশ্রিতা মানুষের জীবন মানের খোঁজ খবর নেন এবং তাদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করেন। প্রকল্পের গুনগত মান দেখে তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেন। পরে একটি গাছের চারা রোপন করেন। এ সময় তাঁর সাথে ছিলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান, এডিএম কাজী মহুয়া মমতাজ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) এ টি এম ফরহাদ চৌধুরী, কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী, সহকারী কমিশনার সুশান্ত সিংহ,সদরের সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো: রফিকুল ইসলাম, সদর উপজেলা প্রকৌশলী মোজাম্মেল হক,যশোদল ইউপি চেয়ারম্যান ইমতিয়াজ সুলতান রাজনসহ জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাগণ ও জেলায় কর্মরত সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ জানান, কিশোরগঞ্জে প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে ঘর পেয়েছেন ২৪৮৩টি অসহায় ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার। সেইসাথে কিশোরগঞ্জ জেলার ১১টি উপজেলা (হোসেনপুর, করিমগঞ্জ, বাজিতপুর, কুলিয়ারচর, নিকলী, মিঠামইন,কিশোরগঞ্জ সদর, কটিয়াদী, পাকুন্দিয়া, ভৈরব, অষ্টগ্রাম) উপজেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। অবশিষ্ট ২টি( ইটনা ও তাড়াইল) উপজেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত ঘোষণা করার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ আরো জানান, প্রকল্পের ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে সরকারি খাস জায়গা কিংবা দখল হওয়া জায়গা দখলমুক্ত করে। কিশোরগঞ্জ জেলায় ২০২০ সাল হতে অদ্যাবধি আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় একক গৃহ নির্মাণের জন্য প্রায় ৬৬.৯৮ একর খাস জমি উদ্ধার করা হয়েছে যার আনুমানিক বাজারমূল্য ৯৫ কোটি ১২ লাখ ৫০ হাজার টাকা। এছাড়া জেলায় ১১২.৮২ শতক জায়গা ক্রয় করা হয়েছে যার স্থানীয় বাজারমূল্য এক কোটি ৪৭ লাখ ৪২৯০ টাকা। মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে নির্মিত আশ্রয়ণ প্রকল্পসমূহে এপর্যন্ত উৎপাদিত শাকসব্জির পরিমাণ ১৪৩৯২ কেজি, যার বাজারমূল্য ৭ লক্ষ ৭৩ হাজার ৪৮২ টাকা। বিভিন্ন উৎপাদিত ফলমূলের পরিমাণ ৯৩৫০ কেজি, যার বাজারমূল্য ৭ লক্ষ ২০ হাজার ৪৫০ টাকা। অন্যান্য উৎপাদিত ফসলের পরিমাণ ৩৩২০ কেজি,যার বাজারমূল্য ১ লক্ষ ৫৭ হাজার ২০০ টাকা। এবং গবাদি পশু পালন ও মৎস্য চাষে গরু/মহিষের ৪১২ টি, যার বাজারমূল্য ১ কোটি ৭৪ লক্ষ ৬ হাজার টাকা। ছাগল/ভেড়া ৪০২ টি, যার বাজারমূল্য ৭ কোটি ৫২ লক্ষ ৮ হাজার টাকা।হাস/মুরগীর আনুমানিক সংখ্যা ৯৮৯৪ টি, যার বাজারমূল্য ২১ লক্ষ ৭২ হাজার টাকা ও মৎস্য চাষের পরিমাণ ১৩,৭৯০ কেজি, যার বাজারমূল্য ২৭ লক্ষ ৬৮ হাজার টাকা।