বিদেশিরা কেন বিএনপির পক্ষে সমর্থন দিচ্ছে— এমন প্রশ্নের জবাবে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, আমরা ন্যায়বিচার চাই, তারা জাস্টিসের কথা বলছে, আমরা দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে গণতন্ত্রের জন্য লড়ছি, তারা (বিদেশিরা) গণতন্ত্রের পক্ষে কথা বলছে। তারা চায় এ দেশে জনগণের অধিকার যাতে ভূলুণ্ঠিত না হয়। তারা মানবাধিকারের কথা বলে, খুন-গুমের বিরুদ্ধে বলে। সুতরাং আমাদের এখানে তাদের কাছ থেকে সহায়তা চাওয়ার ব্যাপার নেই। তাদের নিজস্ব বিবেচনা বোধ থেকে তারা আমাদের দেশের জনগণের পক্ষে কথা বলছে।
বিএনপির ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে শুক্রবার রাজধানীর চন্দ্রিমা উদ্যানে দলটির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
সরকার দেউলিয়া হয়ে গেছে মন্তব্য করে গয়েশ্বর বলেন, দেশের ১৮ কোটি মানুষের কাছে এই সরকারের কোনো সমর্থন নেই। সরকারের পায়ের নিচে মাটি নেই।
বিএনপি বিদেশিদের সঙ্গে যোগাযোগ নিয়ে এক প্রশ্নে তিনি বলেন, কেউ বিদেশিদের কাছে মাথানত করল কি করল না, এটা বিএনপির মাথাব্যথা নয়। গণতান্ত্রিক বিশ্ব গণতন্ত্রের পক্ষে কথা বলছে, মানবাধিকারের পক্ষে কথা বলছে এবং ন্যায়বিচারের পক্ষে কথা বলছে। এটা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে নিজেদের দায়িত্ববোধ থেকে বলছে। অর্থাৎ তারা বাংলাদেশের জনগণের ভোটাধিকার নিয়ে কথা বলছে। এতে দোষের কিছু নেই।
জনগণ কখনো পরাজিত হয় না মন্তব্য করে বিএনপির এই নেতা বলেন, গণতন্ত্র, মানবাধিকার, সুশাসন, ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠায় জনগণকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী আমরা রাজপথে লড়ছি। এই লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত দাঁড়িয়ে থাকার বিকল্প নেই। ১৮ কোটি মানুষ আমাদের পাশে দাঁড়িয়ে আছে। সুতরাং কোনো রাজনৈতিক দল পরাজিত হলেও জনগণ কখনো পরাজিত হয় না।
এর আগে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী শেরেবাংলা নগরে দলের প্রতিষ্ঠাতার মাজারে পুষ্পমাল্য অর্পণ ও তার আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করেন।
এ সময় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন চৌধুরী, ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর, আহমেদ আজম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান, আবদুস সালাম, আবুল খায়ের ভুঁইয়া, হাবিবুর রহমান হাবিব, অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, কেন্দ্রীয় নেতা খায়রুল কবির খোকন, হাবিব-উন নবী খান সোহেল, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, আবদুস সালাম আজাদ, প্রচার সম্পাদক শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, দলের নেতা মাসুদ আহমেদ তালুকদার, কায়সার কামাল, কামরুজ্জামান রতন, মীর সরাফত আলী সপু, রাশিদুজ্জামান মিল্লাত, ডা. রফিকুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. ওবায়দুল ইসলাম, ফজলুল হক মিলন, নাজিম উদ্দিন আলম, মীর নেওয়াজ আলী, তাইফুল ইসলাম টিপু, সেলিমুজ্জামান সেলিম, কাজী আবুল বাশার, রফিক শিকদার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এ ছাড়া ঢাকা মহানগর বিএনপির আমিনুল হক, ইউসুফ মৃধা, যুবদলের সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, শফিকুল ইসলাম মিল্টন, জাসাসের হেলাল খান, জাকির হোসেন রোকন, মহিলা দলের হেলেন জেরিন খান, নিলোফার চৌধুরী মনি, শাম্মী আখতার, ড্যাবের অধ্যাপক ডা. হারুন অর রশিদ, ডা. আবদুস সালাম, তাঁতী দলের আবুল কালাম আজাদ, ওলামা দলের শাহ নেছারুল হক, নজরুল ইসলাম তালুকদার, মৎস্যজীবী দলের আব্দুর রহিম, সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের কাদের গণি চৌধুরী, অধ্যাপক ড. শামসুল আলম, অধ্যাপক কামরুল আহসান, অধ্যাপক নুরুল ইসলামসহ কেন্দ্রীয় ও অঙ্গসংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।