জেলায় পাট থেকে সোনালি আঁশ ছাড়াতে ব্যস্ত সময় পার করছে চাষিরা। বিভিন্ন উপজেলার কৃষকের ঘরে উঠতে শুরু করেছে সোনালি আঁশ। নদী-নালা ও খাল বিল থেকে জাগ দেওয়া পাট তুলে এনে পাট থেকে আঁশ ছাড়ানো ও রোদে শুকানোর কাজে ব্যস্ত সবাই। কুমিল্লার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলার পাট চাষির সংখ্যা প্রতিবছরই বাড়ছে। অন্য বছরের তুলনায় এবছর পাটের ফলন ভালো হয়েছে বলে জানান চাষিরা। চাষিরা পাট কেটে তা নদী, নালা, খাল, বিল ও ডোবায় জাগ দেওয়া, আঁশ ছাড়ানো এবং হাটে বাজারে তা বিক্রিসহ সব মিলিয়ে এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন। আবার কোথাও-কোথাও দেখা গেছে নারী-পুরুষের অংশগ্রহণে পাট থেকে আঁশ ছাড়ানোর কাজ চলছে। কুমিল্লা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরে জেলায় দেশী পাট অর্জিত হয়েছে ৪৭৬ হেক্টর তুষা ৫৬৩ হেক্টর অর্জিত হয়েছে বলে। এছাড়া দেশি পাট গড় ফলন ১০৫ হেক্টর ৮ দশমিক ৫ টন ফলন সংগ্রহ করা হয়েছে। এবং তুষা জাতের পাট ৪০৪ হেক্টর ১১ দশমিক ৫ টন পাট সংগ্রহ করা হয়েছে। এ বছর জেলার হোমনা, তিতাস, মেঘনা এবং দাউদকান্দি উপজেলায় পাট চাষ ভালো ফলন হয়েছে। ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার কান্দুঘর এলাকার পাট চাষি জয়নাল আবেদীন বাচ্চু বলেন, এখন পাট কাটা, পানিতে ডোবানো ও ধোয়ার কাজে আমরা ব্যস্ত সময় পার করছি। এ বছর পাটের ফলন ভালো হয়েছে। বুড়িচং উপজেলার পাট চাষি আবদুল হক বলেন, এ বছর আমি ২১ শতক জমিতে পাট চাষ করেছি। এতে আমার খরচ হয়েছে প্রায় ৪ হাজার টাকা। পাটের ফলনও ভালো হওয়ায় খুশি আমরা। আশা করছি ভালো দামও পাবো। এ বিষয়ে কুমিল্লা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আইয়ুব মাহমুদ বলেন, পাটের ফলন ভালো হয়েছে। বাজারে পাটের দামও ভালো। আশা করছি চাষিরা ন্যায্য মূল্য পাবে।