বৃষ্টির পানি এবং পাহাড়ি ঢলে তলিয়ে গেছে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের বিভিন্ন অংশ। একারণে সড়কটির বিভিন্ন অংশে যান চলাচল করা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে চট্টগ্রামের সঙ্গে বান্দরবান ও কক্সবাজারের যোগাযোগ একপ্রকার বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এই অবস্থায় পানি বন্দি জীবন- যাপন করছেন সাধারণ জনগণরা।
মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) দুপুরে চট্টগ্রাম দক্ষিণ সড়ক উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চন্দনাইশের কসাইপাড়া, সাতকানিয়ায় কেরানিহাট ও আশেপাশের এলাকা এবং লোহাগাড়া উপজেলার কিছু এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে। একারণে এই মহাসড়ক দিয়ে যানবাহন চলতে পারছে না। বিচ্ছিন্নভাবে দু’একটি ট্রাক হয়তো চলাচল করছে।
জানা গেছে, বান্দরবান থেকে নেমে আসা সাংগু ও ডলু নদীর ঢল এবং কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিপাতে চন্দনাইশ, সাতকানিয়া ও লোহাগাড়ার বিস্তীর্ণ এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে। এসব এলাকার বিভিন্ন আঞ্চলিক সড়ক ডুবে গিয়ে যোগাযোগ বন্ধ হয়েছে। ডুবে গেছে একতলা বাড়িও। এছাড়া বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকা এবং নেটওয়ার্ক সমস্যা তৈরি হওয়ায় ওই এলাকার লোকজন মারাত্মক ভোগান্তিতে পড়েছেন।
বন্যায় কোনো কোনো এলাকার বাড়িঘর ডুবে যাওয়ার পর তারা নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে পারেননি। প্রশাসনের পক্ষ থেকে বন্যাকবলিত এলাকায় ত্রাণ তৎপরতা চালানোর দাবি জানিয়েছেন দুর্ভোগে পড়া বাসিন্দারা।
তিন উপজেলার মধ্যে সাতকানিয়ার কেঁওচিয়া, বাজালিয়া, ঢেমশা, সদর ইউনিয়ন, পৌরসভা ও সোনাকানিয়া ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে। এছাড়া লোহাগাড়ার পদুয়া ও আমিরাবাদ ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা এবং চন্দনাইশের ধোপাছড়ি ও দোহাজারী পৌরসভার আশেপাশের এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে।
সাতকানিয়ার কেঁওচিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা মনির উদ্দিন বলেন, আমাদের এলাকার অবস্থা খুবই খারাপ। বন্যার পানিতে বেশিরভাগ বাড়িঘর ডুবে গেছে। এলাকায় বিদ্যুৎ এবং মোবাইল নেটওয়ার্ক নেই। প্রশাসনের সহায়তা দাবি করছি।
জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হুছাইন মুহাম্মদ বলেন, বন্যাকবলিত বিভিন্ন এলাকায় প্রশাসনের ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এছাড়া শহরে পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসরতদের নিরাপদে স্থানান্তর এবং তাদের খাবার দেওয়া হচ্ছে।