চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে কয়েকদিনে লাগাতার বর্ষণে উপজেলার আওয়াতধীন নিন্ম অঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি চরম অবনতি হয়েছে। বন্যার কারণে ৪০টি গ্রামে ২লক্ষাধীক মানুষ পানি বন্ধী হয়ে পড়েছে।এতে করে বন্যার দুর্গত এলাকার জনগন দূ্ভাের্গ চরম আকার ধারন করেছে। উপজেলা বিভিন্ন ইউনিয়নে সরেজমিনে গিয়ে লোকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়,এলাকার গ্রামীন সড়কগুলে পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ায় উপজেলা সদরের সাথে সরাসরি যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।নিন্ম অঞ্চলের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলো নিচে তলিয়ে যাওয়া শিক্ষা কার্যক্রম অঘেষিত বন্ধ হয়ে পড়েছে। বন্যার পানিতে অনেকে মাছ শিকারে ব্যস্ত রয়েছে। স্থান বিশেষে বিসাক্ত সাপের উপদ্রব বেড়ে গেছে।অনেক স্থানে রান্না কাজে ব্যবহ্রত চুল্লিতে পানি ডুকে রান্নার কাজ ব্যাহত হচ্ছে। অপেক্ষাকৃত বিত্তশালীরা গ্যাসের চুলায় রান্না করছে।এদিকে চট্টগ্রাম হাটহাজারী মহাসড়কে বড়দীঘির পাড়, চৌধুরী হাট,নন্দীর হাট,চবি ২নং গেইট পানি নিচে তলিয়ে যাওয়া গাড়ি চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। চবি ২নং সড়ক সংলগ্ন চট্টগ্রাম পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ৩ এর কার্য্যালয়ের প্রধান ফটক পানির নিচে তলিয়ে গেছে। এদিকে উপজেলা ৬নং ছিপাতলী ইউপি চেয়ারম্যান নরুল আহাসান লাভু জানান,পুরো ইউনিয়ন বন্যার পানির নিছে তলিয়ে গেছে।আমার এলাকার জনগন পানি বন্ধী হয়ে পড়েছে বিভিন্ন খামারও পানিতে নিমজ্জিত হয়ে পড়েছে। সরকারী থেকে প্রাপ্ত ত্রান সামগ্রী দুর্গত মানুষের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়াও নাঙ্গলমোড়া, গুমানমর্দন ইউপি চেয়ারম্যানগনকে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করতে চাইলে তাদের মুঠো ফোনে সংযোগ পাওয়া যায়নি। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ শাহিদুল আলম জানান নিম্ন এলাকা ও যেসব এলাকায় লোকালয়ে বা বাড়িঘরে পানি ডুবে রয়েছে,সেসব পানি বন্ধী এলাকার জন্য জেলা প্রশাসনের কার্য্যালয় থেকে ১০টন খাদ্যশস্য ও নগদ ৫০ হাজার টাকা পাওয়া গেছে। জেলা প্রশাসক থেকে প্রাপ্ত খাদ্য শস্য ও অর্থ ইউপি চেয়ারম্যানদের নিকট প্রদান করা হয়েছে।