র্যাব ফোর্সেস আমাদের প্রিয় মাতৃভূমির অপ্রতিরোধ্য উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে ত্বরান্বিত করতে এবং সন্মানিত নাগরিকদের জন্য টেকসই নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইনের আলোকে কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছে। এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে সংঘটিত চাঞ্চল্যকর অপরাধে জড়িত অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে র্যাব জনগনের সুনাম অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় গত ২৩ জুলাই তারিখে খুলনা জেলার দাকোপ থানাধীন গহীন সুন্দরবনের ভিতর ভদ্রা নদীর টগিবগী খালের উপর কতিপয় জেলেরা ডিঙ্গি নৌকাসহ মাছ ধরার সময় অপহরণ করার উদ্দেশ্যে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে ওৎ পেতে থাকা দস্যুরা জেলেদের নৌকার কাছে এসে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে জেলেদের নৌকা থেকে অপহরণকারীদের নৌকায় তুলে নিয়ে এলোপাতারি কিল ঘুষি মারতে থাকে। এবং বিভিন্ন হুমকি দিয়ে জেলেদের জোর পূর্বক গহীন সুন্দরবনের অজ্ঞাত স্থানে অপহরণ করে অমানুষিক নির্যাতন শুরু করে। এমতাবস্থায় অপহরণকারীরা মোবাইল ফোনে জেলেদের পরিবার পরিজনের নিকট ফোন দিয়ে ২ লক্ষ টাকা মুক্তিপন চাঁদা দাবি করে। টাকা না দিলে জেলেদের খুন করে লাশ গুম করবে বলে পরিবার পরিজনদেরকে হুমকি প্রদান করে। তখন জীবন বাঁচাতে মৃত্যুর ভয়ে জেলেদের পরিবারের লোকজন ২ লক্ষ টাকা দিতে রাজি হয় অপহরণকারীদের। তখন অপহরণকারীরা জেলে পরিবার পরিজনদের নিকট একটি বিকাশ নম্বর দেয় এবং দ্রুত টাকা পাঠাতে বলে। জেলেদের পরিবারের লোকেরা একই তারিখ বিকালে বিভিন্ন আত্মীয়স্বজনদের নিকট হতে ধার দেনা করে সর্বমোট ৭০ হাজার টাকা মুক্তিপন বাবদ অপহরণকারীদের বিকাশ নম্বরে পাঠিয়ে দেয়। পরবর্তিতে ভিকটিম জেলেদের পরিবারের সদস্যরা র্যাব-৬, খুলনাকে অপহরণের বিষয়টি অবহিত করলে র্যাব-৬ এর একটি চৌকস আভিযানিক দল অপহৃত ভিকটিমদেরকে উদ্ধার ও অপহরণকারীদেরকে গ্রেফতারের লক্ষে গোয়েন্দা তৎপরতা শুরু করে এবং অভিযান অব্যাহত রাখে। এরই ধারাবাহিকতায় ২৮ জুলাই তারিখে র্যাব-৬ এর (স্পেশাল কোম্পানি) খুলনার একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, অপহরণকারীরা বাগেরহাট ও খুলনা জেলার বিভিন্ন এলাকায় অবস্থান করছে। প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে আইনানুগ ব্যব্স্থা গ্রহণের লক্ষে উক্ত আভিযানিক দলটি একই তারিখ রাতে বাগেরহাট জেলার মংলা থানা এবং খুলনা জেলার দাকোপ থানার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে অপহরণের সাথে জড়িত আসামী যথাক্রমে সঞ্জয় বাইন (৩৪) মোঃ গাউস (৩০) মঞ্জুআরা বেগম ময়না (৩৪) মোঃ আল আমিন হাওলাদার (২৮) সর্ব থানা-দাকোপ, জেলা-খুলনা, রবিউল হাওলাদার (৩৩) থানা-রামপাল, জেলা-বাগেরহাটদেরকে গ্রেফতার করে এবং অপহরণকারীদের কাছ থেকে মুক্তিপন বাবদ আদায়কৃত ৪০ হাজার টাকা উদ্ধারসহ ১৪ জন অপহৃত ভিকটিম জেলেদেরকে উদ্ধার করে। পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষে উদ্ধারকৃত ভিকটিম ও গ্রেফতারকৃত আসামীদেরকে খুলনা র্যাব-৬ কার্যালয়ে নিয়ে আসার পরে খুলনার জেলার দাকোপ থানায় মামলা রুজু করতঃ আসামিদেরকে হস্তান্তর করা হয়।