ডাকাত দলের সদস্যরা সংঘবদ্ধচক্র। তারা বড় বড় ব্যবসায়ীদেরকে টার্গেট করে ব্যবসায়ীদের ব্যাংকিং লেনদেনের বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে ঘায়েল করেন। এমনকি ব্যবসায়ীরা কে কখন কোন ব্যাংকে টাকা জমা দিতে যায়, কে উত্তোলন করতে যায়, তাদেরকে টার্গেট করে পূর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকে। পৌঁছামাত্রই মারামারির পরি¯ি’তি সৃষ্টি করে সুযোগ বুঝে নগদ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এমনি চাঞ্চচল্যকর তথ্য প্রেস ব্রিফিং এর মাধ্যমে জানালেন চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন পুলিশ। নাটকিয়ভাবে গত ০৯ই জুলাই নগরীর জুবিলি রোড এলাকায় নূর এন্টারপ্রাইজ নামক মোবাইল বিক্রয় প্রতিষ্ঠানের এস.আর. মোরশেদ আলম (২২) ও সহকারী ম্যানেজার ত্রিদিব বড়ুয়া (৫৫) প্রায় সময় প্রতিষ্ঠানের ব্যাংকিং লেনদেনের কার্যক্রম সম্পাদন করেন। এরই ধারাবাহিকতায় ঐদিন দুপুরে একটি লাল রংয়ের পুরাতন ব্যাগে প্রতিষ্ঠানের মোবাইল বিক্রয়ের নগদ নয় লক্ষ আশি হাজার টাকা সিটি ব্যাংক লিমিটেড জুবিলী রোড শাখায় জমা দিতে যায়। কোতোয়ালী থানাধীন জুবিলী রোডস্থ রয়েল টাওয়ারের সামনে রাস্তার উপর পৌঁছামাত্র নাটকিয়ভাবে সাত-আট জন পিছন থেকে ধাক্কা দেয়। সহকারী ম্যানেজার ত্রিদিব বড়ুয়া এ ঘটরা দেখে চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় এই ধরনের আচরণ করার কারণ জিজ্ঞাসা করা মাত্র অজ্ঞাতনামা তিনজন লোক পিছন থেকে এলোপাতাড়ী কিল ঘুষি ও লাথি মারতে থাকে। এবং রক্তাক্ত অবস্থা করে। ধারালো অস্ত্রের মুখে ব্যাগ ভর্তি টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়। এই ঘটনার পরে নূর এন্টারপ্রাইজের মালিক নূর মোঃ ইয়াছি কবির বাদী হয়ে কোতোয়ালী থানায় একটি ডাকাতী মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ১৩, তারিখঃ ০৯/০৭/২০২৩ইং, ধারা ৩৯৫/৩৯৭। মামলার পরিপ্রেক্ষিতে গত ১০ই জুলাই কোতোয়ালী থানা পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নগরীর বায়েজীদ বোস্তামী রউফাবাদ এলাকা থেকে ডাকাত সাহেদ হোসেন মনাকে গ্রেফতার করেন। এরপরে তার স্বীকারোক্তি মতে লুন্ঠিত টাকা ও সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের সদস্য মোঃ একরামুল আলম, মোঃ ইয়াছিন ও রবিউল হোসেন কে গ্রেফতার করেন। ধৃত আসামীরা জিজ্ঞাসা বাদে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সহযোগিতায় ডাকাতির ঘটনা সংগঠনের কথা স্বীকার করেন।