খুলনার কয়রা উপজেলার উত্তরচক আমিনিয়া কামিল মাদরাসার সভাপতির পদ স্থগিতসহ ওই মাদরাসার নিয়োগ কার্যক্রমও বাতিল করা হয়েছে। একই সাথে কয়রা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে মাদরাসার বেতন-ভাতায় প্রতিস্বাক্ষরের জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। গত ৭ মে ইসলামী আরবী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিষ্ট্রারের কার্যালয় থেকে এ আদেশ দুটি জারি করা হয়।
মঙ্গলবার (১৬ মে) আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কয়রা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মমিনুর রহমান।
গত ৫ মে অধ্যক্ষ নিয়োগ পরীক্ষায় ওই মাদরাসার সভাপতির পছন্দের প্রার্থীকে পাশ করাতে নিয়োগ বোর্ডের সদস্য জবি অধ্যাপক ড. নজরুল ইসলামকে মারপিট করা হয়। ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ তার বাড়িতে আটকে রেখে প্রায় ৫ ঘন্টা ধরে নির্যাতনের পর নিয়োগপত্রে স্বাক্ষর করিয়ে নেন। পরে এ ঘটনায় অধ্যাপক নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদসহ ৮ জনের নাম উল্লেখ করে কয়রা থানায় মামলা করেন।
ইসলামী আরবী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিষ্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) ড. আবু হানিফা জানান, কয়রা উত্তরচক আমিনিয়া কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ নিয়োগ নির্বাচনি বোর্ডে দায়িত্ব পালনের জন্য ইসলামী আরবী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলরের প্রতিনিধি হিসেবে অধ্যাপক নজরুল ইসলামকে মনোনয়ন দেওয়া হয়। গত ৫ মে নিয়োগ পরীক্ষা শেষে মাদরাসার সভাপতি ও স্থানীয় মহারাজপুর ইউপি চেয়ারম্যান তার পছন্দের প্রার্থীকে নিয়োগ পাইয়ে দিতে অধ্যাপক নজরুল ইসলামকে মারপিট ও হত্যাচেষ্টা করেন। পরে তাঁর কাছ থেকে জোরপূর্বক নিয়োগপত্রে স্বাক্ষর করিয়ে নেওয়া হয়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে নিয়োগ স্থগিতসহ ওই মাদরাসার সভাপতির পদ স্থগিত করা হয়েছে।