স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, ভূমিকম্প প্রতিরোধে কোনো প্রযুক্তি না থাকায় এটা অতীতেও হয়েছে এবং ভবিষ্যতেও হবে। এতে আমাদের করণীয় হচ্ছে যে কোনো ভবন বা অবকাঠামো তৈরি করার সময় ভূমিকম্প সহনীয় ও জাতীয় বিল্ডিং কোড অনুসরণ করে নির্মাণ করা। রাজধানী ঢাকার অনেক এলাকায় ভূমিকম্প পরবর্তী উদ্ধারকাজ চালানোর মতো অবকাঠামো ও সুযোগ নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, সময় থাকতে আমাদের এ বিষয়ে সচেতন হতে হবে। গতকাল সোমবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি আয়োজিত ভূমিকম্প ঝুঁকিতে ঢাকা, গণমাধ্যমের করণীয় শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তুরস্কের সাম্প্রতিক ভূমিকম্পের কথা উল্লেখ করে বলেন, সেখানে প্রশস্ত রাস্তা ও উন্মুক্ত স্থান ছিল, যেখানে মানুষ ভূমিকম্পের সময় নিরাপদ আশ্রয় পেয়েছিল ফলে মানুষের প্রাণহানি কম হয়েছে। ঢাকায় সে বাস্তবতা কতটুকু রয়েছে তা জনগণের সামনে প্রতিনিয়ত উপস্থাপনের মাধ্যমে গণমাধ্যম সচেতনতামূলক কার্যক্রম নিতে পারে। এ ক্ষেত্রে গণমাধ্যমের ভূমিকা ও গুরুত্ব অপরিসীম। পরিকল্পনাহীন উন্নয়ন ও অবকাঠামো নির্মাণের দায় আমাদের সবার রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ভবিষ্যতে যাতে জাতীয় বিল্ডিং কোড অনুসরণ ব্যতীত কোনো স্থাপনা তৈরি হতে না পারে সেজন্য যে প্রতিষ্ঠানসমূহ স্থাপনা তদারকির দায়িত্ব রয়েছে তাদের আরও শক্তিশালী ভূমিকা রাখতে হবে। এ ক্ষেত্রে গণমাধ্যম অপরিকল্পিত নগরায়ন বা বিল্ডিং কোড না মানার ফলে ভূমিকম্পের মত প্রাকৃতিক দূর্যোগে যে ভয়াবহতা হতে পারে তা অনবরত মানুষের সামনে উপস্থাপনের মাধ্যমে এ বিষয়ে সচেতনতা তৈরি করতে পারে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান মিঞা। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বুয়েটের পুরাকৌশল বিভাগের ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক মেহেদী আহমেদ আনসারী। আলোচক হিসাবে বক্তব্য দেন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল। সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি মুরসালিন নোমানী।