খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে পুনরায় নির্বাচন করার জন্য মেয়রের পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন তালুকদার আবদুল খালেক। গত বৃহস্পতিবার বিকালে তিনি স্থনীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলামের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন। এর আগে সকালে তিনি খুলনা থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেন। তালুকদার আবদুল খালেকের পদত্যাগের পর সিটি করপোরেশন পরিচালনার যাবতীয় দায়িত্ব দেয়া হয়েছে সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা লস্কার তাজুল ইসলামকে। গতকাল স্থনীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে তাকে ওই দায়িত্ব দেয়া হয়। চিঠিতে বলা হয়, খুলনা সিটি করপোরেশনের নির্বাচিত মেয়র কর্তৃক দায়িত্ব নেয়ার পূর্ব পর্যন্ত সিটি করপোরেশনের সব প্রশাসনিক ও আর্থিক ক্ষমতা প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, খুলনা সিটি করপোরেশনকে অর্পণ করা হলো। গত বুধবার খুলনা সিটি করপোরেশনের আলতাফ আলী মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করেন তালুকদার আবদুল খালেক। এ সময় তিনি বলেন, আজ আমার কর্মদিবসের শেষ দিন। নিয়মানুযায়ী মেয়র পদে থেকে নির্বাচন করার সুযোগ নেই। তাই আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) বেলা ৩টার দিকে স্থনীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে গিয়ে পদত্যাগপত্র জমা দেব। গত পাঁচ বছর নগরীর উন্নয়নে কী কাজ করেছেন ও নির্বাচিত হলে ভবিষ্যতে কী করতে চান, তা জানাতে ওই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। গত ২ মে মেয়র পদে নির্বাচন করার জন্য রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে তালুকদার আবদুল খালেকের হয়ে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছিলেন খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের নেতারা। তিনি এখনো মনোনয়নপত্র জমা দেননি। ১৬ মে মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার শেষ দিন। এর আগেই তাকে পদত্যাগ করতে হবে বলে জানিয়েছেন সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ফারাজী বেনজীর আহমেদ। জানতে চাইলে খুলনা সিটি করপোরেশনের নির্বাহী কর্মকর্তা লস্কার তাজুল ইসলাম বলেন, মেয়রের অবর্তমানে সিটি করপোরেশনের প্রশাসনিক ও আর্থিক দায়িত্ব পরিচালনার জন্য স্থনীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের চিঠি পেয়েছি। তালুকদার আবদুল খালেক বর্তমান মেয়র ও খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি। তিনি আওয়ামী লীগের মনোনীত মেয়র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করবেন। এটা নিয়ে টানা চারবার আওয়ামী লীগ তাকে দলীয় মনোনয়ন দিয়েছে। তালুকদার খালেক প্রথম মেয়র নির্বাচিত হন ২০০৮ সালে। তবে ২০১৩ সালে বিএনপির প্রার্থী মোহাম্মদ মনিরুজ্জামানের কাছে হেরে যান। পুনরায় মেয়র নির্বাচিত হন ২০১৮ সালে। গতকাল পদত্যাগের মধ্য দিয়ে শেষ হলো তার দ্বিতীয় দফা মেয়রের দায়িত্ব। গতকাল দুপুর পর্যন্ত তিনি অফিসে ব্যস্ত সময় পার করেন। বিকাল ৩টার দিকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন।