বর্ণাঢ্য র্যালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ, আলোচনা সভাসহ বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যদিয়ে গত (সোমবার) খুলনায় মহান মে দিবস পালিত হয়। দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় ছিলো ‘শ্রমিক-মালিক ঐক্য গড়ি, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলি’। এ উপলক্ষ্যে সকালে খুলনা বিভাগীয় শ্রম দপ্তর চত্বরে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় খুলনা সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বলেন, মহান মে দিবস শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ের অন্যতম দিন। শ্রমিকরাই দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের মূল চালিকাশক্তি। দেশের বিভিন্ন সেক্টরে কর্মরত শ্রমিকদের কল্যাণ নিশ্চিত করতে সরকার বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন গঠন করেছে। এ ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে শ্রমিক-কর্মচারী ও তাদের পরিবারের সদস্যদের চিকিৎসা এবং সন্তানের উচ্চ শিক্ষার জন্য আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন শ্রমিকবান্ধব মানবিক নেতা। শ্রমজীবি মানুষের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে ১৯৭২ সালে শ্রমিকনীতি গঠন করেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান । তারই পথ অনুসরণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মেহনতি মানুষের জীবনমান উন্নয়নে সার্বিক ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। এ সরকারের আমলেই সকল সেক্টরে শ্রমিকদের বেতন-ভাতা বৃদ্ধি করা হয়েছে। ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে উন্নত কর্ম পরিবেশ, মালিক-শ্রমিক সুসম্পর্ক স্থাপন, শ্রমিকের নিরাপত্তা ও সুস্থতাসহ সার্বিক অধিকার নিশ্চিতকরণের কোন বিকল্প নেই। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (রাজস্ব) মোঃ শহিদুল ইসলাম ও খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মোঃ সাজিদ হোসেন। খুলনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার দপ্তরের উপপরিচালক মোঃ ইউসুপ আলী’র সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন বিভাগীয় শ্রম দপ্তরের পরিচালক মোঃ মিজানুর রহমান। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে আরোও বক্তব্য দেন জাতীয় মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান রুনু ইকবাল বিথার। অনুষ্ঠানে মেয়র খুলনা জেলার প্রাতিষ্ঠানিক ও অপ্রাতিষ্ঠানিক সেক্টরের শ্রমিক-কর্মচারী ও তাদের পরিবারের সদস্যদের চিকিৎসা এবং সন্তানের উচ্চ শিক্ষার জন্য বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন থেকে বরাদ্দকৃত নয়জন সুবিধাভোগীদের মাঝে পাঁচ লাখ ৮০ হাজার টাকার আর্থিক সহায়তার চেক বিতরণ করেন। দিবসটি উপলক্ষ্যে প্রথমে খুলনা সিটি মেয়রের নেতৃত্বে খুলনার রূপসা ট্রাফিক মোড় থেকে বর্ণাঢ্য র্যালি শুরু হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে বিভাগীয় শ্রম দপ্তরে এসে শেষ হয়। র্যালিতে সরকারি-বেসরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা, শ্রমিক-মালিক-কর্মচারী, ট্রেড ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ অংশ করেন। পরে মেয়রের নেতৃত্বে শ্রম দপ্তর চত্বরে সরকারি কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।