রাজশাহীর বাঘায় হঠাৎ চৈত্রের ঝড়ে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে উপজেলার কয়েকটি গ্রাম। রোববার (২ এপ্রিল) দুপুর থেকে বিকাল পর্যন্ত চলা এই ঝড়সহ ব্যাপক বৃষ্টিপাত হয়েছে। বৃষ্টির শেষ দিকে বয়ে গেছে চৈত্রের ঝড়। তিন গ্রামের ঘড়বাড়ি লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে। ফসল এবং আমের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া ঝড়ে উড়ে গেছে তেঁথুলিয়া বাজারের ৬টি দোকান। স্থানীয়রা জানান, রোববার (২-এপ্রিল) দুপুরের পর থেকে বাঘা উপজেলায় ব্যাপক বৃষ্টিপাত ও হালকা বাতাস শুরু হয়। এ সময় বন্ধ হয়ে যাই বিদ্যুৎ সংযোগ। প্রায় এক ঘণ্টাব্যাপী চলে এই বৃষ্টি। অতঃপর বাউসা ইউনিয়নের তেঁথুলিয়া বাজার এলাকাসহ হরিনা ও ফতিরদাড় এলাকায় বৃষ্টির শেষ প্রান্তে এসে শুরু হয় ব্যাপক ঝড়। মাত্র ১৫ মিনিটের ঝড়ে তেঁথুলিয়া বাজারের (কাঠ) মিল মালিক লেদু এবং সুজনের ঘরের টিন উড়ে যায়। একই সঙ্গে ঐ বাজারের ফার্নিচার ব্যবসায়ী শান্টু, মুদি ব্যবসায়ী মদন ও রনির দোকানের চালা লণ্ডভণ্ড হয়ে যায়। অপরদিকে পার্শ্ববর্তী এলাকার মফিজুলের বাড়ির টিন, বিপুলের বাড়ির টিন, দুলাল হোসেনের অনেক বড় একটি মেহগনি ও কাবলির আম গাছসহ প্রায় এক কিলোমিটার এলাকার মধ্যে অবস্থিত হরিনা এবং ফতিরদাড় এলাকার মানুষের জমির গম, কলাগাছসহ শত-শত বিঘা জমির আমের ব্যাপক ক্ষতি হয়। তেঁথুলিয়া বাজার বনিক সমিতির সভাপতি জোনাব আলী জানান, রোববার বিকাল সোয়া ৫টার সময় মাত্র ১৫ মিনিটের ঝড়ে এ বাজারসহ পার্শ্ববর্তী প্রায় এক কিলোমিটার এলাকাব্যাপী অনেক মানুষের গাছপালা ও ঘরবাড়িসহ ফসলের অনেক ক্ষতি হয়েছে। এদিকে খবর পেয়ে ঘটনার পর ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শন করেছেন বাঘা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. লায়েব উদ্দিন লাভলু। তিনি ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীদের সান্ত্বনা দিয়ে বলেন, এটা প্রাকৃতিক দুর্যোগ। এ ক্ষতি অপূরণীয়। তবে ভেঙে পড়লে চলবে না। আমরা সরকারিভাবে যতটা সম্ভব আপনাদের সহায়তা দেওয়ার চেষ্টা করব। উপজেলা নির্বাহী অফিসার শারমিন আখতার বলেন, লোকমুখে ঘূর্ণিঝড়ের খবর পেয়েছি। সোমবার সকালে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শন করব। এরপর ক্ষতির অবস্থান বুঝে কেউ সহায়তা চাইলে তাদের বিষয়ে সরকারিভাবে অনুদানের ব্যবস্থা করা হবে।