মেয়েদের প্রিমিয়ার লিগে ইতিহাস গড়ল মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। প্রথম সংস্করণেই চ্যাম্পিয়ন হারমানপ্রীত কৌরের দল। ফাইনালে লো স্কোরিং ম্যাচে দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে ৭ উইকেটের জয় পেয়েছে মুম্বাই।
রবিবার ব্রেবোর্ন স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন দিল্লির অধিনায়ক মেগ ল্যানিং।
ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ইসি ওংয়ের তোপের মুখে পড়ে তারা। ৩৫ রানে হারিয়ে ফেলে তিন উইকেট। টপ অর্ডারের প্রত্যেককেই সাজঘরে পাঠান ওং। চতুর্থ উইকেটে মারিজানে ক্যাপকে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন অধিনায়ক মেগ ল্যানিং (৩৫ রান)।
তবে ৩৮ রানের এই জুটি ভাঙতেই আবারও বিপর্যয়ে পড়ে দিল্লি। ৭৯ রানের ভেতরই ৯ উইকেট তোলে নেয় মুম্বাই। কিন্তু শেষ উইকেটে শিখা পান্ডে ও রাধা যাদবের ৫২ রানের জুটি বেশ ভুগিয়েছে তাদের। যার ফলে ৯ উইকেটে ১৩১ রানের লড়াকু সংগ্রহ পায় দিল্লি। ১৭ বলে ৩ চার ও ১ ছক্কায় ২৭ রানের অপরাজিত থাকেন শিখা। তার মতো ২৭ রানে অপরাজিত ছিলেন রাধাও। ১২ বলে ২ চার ও ২ ছক্কায় ঝোড়ো ইনিংসটি সাজান তিনি।
মুম্বাইয়ের হয়ে ওং ছাড়াও ৩ উইকেট নেন হেইলি ম্যাথিউস, দুটি শিকার করেন অ্যামেলিয়া কের।
১৩২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় মুম্বাই। ২৩ রানের ভেতর বিদায় নেন দুই ওপেনার ম্যাথিউস ও ইয়াস্তিকা ভাটিয়া। তবে তৃতীয় উইকেটে দলের হাল ধরেন অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌর ও ন্যাট সিভার-ব্রান্ট। দুজনে মিলে যোগ মুম্বাইয়ের স্কোরবোর্ডে যোগ করেন ৭৪ রানের জুটি। তাই ধীরে হলেও শিরোপার পথে এগোনোর পথটা সহজ হয়ে যায় মুম্বাইয়ের জন্য। ৩৭ রান করা হারমানপ্রীতকে অবশ্য ফিরতে হয় রান আউটের শিকার হিয়ে। তবে অ্যামেলিয়া কেরকে নিয়ে বাকিটা পথ অনায়াসে পাড়ি দেন ব্রান্ট। তাতে মুম্বাইও জয়ের বন্দরে পৌঁছায় তিন বল হাতে রেখে।
৫৫ বলে ৭ চারে ৬০ রানের ম্যাচজয়ী ইনিংস খেলে ম্যাচসেরার পুরস্কার জেতেন ডানহাতি এই ব্যাটার।
৯ ম্যাচে ৩৪৫ রান করে কমলা টুপির মালিক দিল্লির অধিনায়ক মেগ ল্যানিং। সব থেকে বেশি উইকেট নিয়েছেন ম্যাথুজ। তিনি ১০ ম্যাচে ১৬ উইকেট নিয়েছেন।