রাজশাহীর বাগমারার ভবানীগঞ্জ বাজারে এখন নিত্যদিনের সমস্যা যানজট। রাস্তা দখল করে দোকানপাট, পাকিং, যানবাহনে মালামাল লোডিংয়ের কারণে বাজারের সিএসজি স্ট্যান্ড, ভবানীগঞ্জ বাজার জিরো পয়েন্ট, কলেজ মোড়, গোড়াউন মোড়সহ পুরো বাজারে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত যানজট লেগে থাকে। ব্যবসায়ীসহ পথচারীরা বলেন, যত্রতত্র ভ্যান ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা পাকিং, বাজারের ফুটপাত ও রাস্তা দখল করে দোকানপাট বসানো, হাটের দিনসহ বিভিন্ন দিনে ট্রাকে মালামাল লোডিং আনলোডিং, যেখানে সেখানে পাকিংসহ নানান কারণে এই বাজারের যানজট কমছেই না। এছাড়া বাজারের একমাত্র বাইপাস সড়ক কলেজ মোড় থেকে গোড়াইন মোড়ের রাস্তাটি সংস্কারে ধীরগতিতে সেখানে ভারী যানবাহন চলাচল করতে না পারায় ওই সমস্ত ভারি যানবাহনগুলো বাজারের মধ্যে দিয়ে চলাচল করার কারণে যানজট আরও প্রকট আকার ধারণ করেছে। বাজারের সড়ক ব্যবহারকারী ব্যবসায়ী, পথচারী ও স্কুলগামী শিক্ষার্থীরা যানজটের কারণে অতিষ্ট। মাঝে মাঝে পৌর মেয়র নিজেও এই যানজটের কবলে আটকা পড়েন। সম্প্রতি মেয়র নিজেই মোটরসাইকেল থেকে নেমে পায়ে হেঁটে গন্তব্য যেতে বাধ্য হয়েছেন। বাজারে যানজটের এই মানবসৃষ্ট কারণ ছাড়াও রয়েছে হাট ইজারাদারের অতি মুনাফা ও সরকার নির্ধারিত খাজনার চেয়ে সাত গুণ বেশি হারে খাজনা আদায়ের মানসিকতা। এই হাটের ইজারাদাররা ব্যাপক বেশি হারে খাজনা আদায় করে থাকে। তার ওপর আরও বেশি টাকা আদায়ের জন্য যেখানে সেখানে ভ্রাম্যমাণ দোকান ও হকার বসিয়ে যানজটের মাত্রা আরও বাড়িয়ে দেয় বলে সাধারণ পথচারীরা জানান। এ সমস্যা সমাধানে বাজারের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ট্রাফিক সদস্য নিয়োগ ও অবিলম্বে কলেজ মোড় টু গোডাউন মোড়ের বাইপাস সংস্কার কাজ শেষ করে ওই পথে ট্রাকসহ ভারি যানবাহন চলাচলের সুযোগ করে দিলে বাজারের যানজট অনেকটা কমে আসবে বলে অভিমত স্থানীয়দের। ভবানীগঞ্জ সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের প্রভাষক মাহবুবুর রহমান জানান, এখানে পরিকল্পনার ত্রুটি রয়েছে। এছাড়া দায়িত্বশীলরা চরমভাবে উদাসীন। ভবানীগঞ্জ কারিগরি ও ব্যবস্থাপনা কলেজের অধ্যক্ষ আতাউর রহমান শিবলী বলেন, আপতত যানজটপ্রবণ এলাকায় ট্রাফিক পুলিশ নিয়োগ করে সাময়িক যানজট মুক্ত করা সম্ভব। বিষয়টি পৌর কর্তৃপক্ষের গুরুত্ব দেওয়া উচিত। ভবানীগঞ্জ বাজার বনিক সমিতির সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম হেলাল বলেন, যানজটের স্থায়ী সমাধানের জন্য বাজারের রাস্তা প্রশস্থকরণের কথা আমরা বারবার বলে আসছি। এ জন্য আমরা সংশ্লিষ্ট দপ্তরে লিখিত আবেদন জমা দিয়েছি। পৌরসভার সহকারি প্রকৌশলী লিটন মিয়া বলেন, বাইপাস রাস্তার সংস্কার কাজ দ্রুত শেষ করার জন্য ঠিকাদারকে বিশেষ তাগাদা দেওয়া হয়েছে। পৌর মেয়র আব্দুল মালেক মণ্ডল বলেন, দ্রুত বাইপাশ চালুর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এছাড়া বাজারের উন্নয়নে একটা মাস্টার প্লান করা হয়েছে। অচিরেই এই কাজ শুরু হবে।