আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের শেষ ওয়ানডেতে মুখোমুখি বাংলাদেশ। যেখানে টসে জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় আয়ারল্যান্ড অধিনায়ক অ্যান্ড্রু বালবার্নি। ব্যাট করতে নেমে টাইগারদের বোলিং তোপে ২৯ ওভারে ১০১ রানে অলআউট হয় আইরিশরা। ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৩৬ ওভার ৫ বল হাতে রেখেই ১০ উইকেটের জয় তুলে নেয় টাইগাররা।
১০২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই আক্রমণাত্নক খেলতে থাকেন দুই ওপেনার তামিম ও লিটন। লিটন কিছুটা দেখেশুনে খেললেও মারমুখী ব্যাটিং করতে থাকেন অধিনায়ক তামিম ইকবাল। মাত্র ৫ ওভারে স্কোরবোর্ডে ৩৯ রান যোগ করেন এই দুই ব্যাটার।
এরপরও মারমুখী ব্যাটিং চালিয়ে যান দুই ওপেনারই। শেষ পর্যন্ত এই দুই ব্যাটারের ঝরো ব্যাটিংয়ে ১০ উইকেটের বড় জয় পায় বাংলাদেশ। তামিম ৪১ বলে ৪১ ও লিটন ৩৮ বলে ৫০ রানে অপরাজিত থাকেন। এই জয়ে ২-০ তে সিরিজ জিতলো বাংলাদেশ।
এর আগে ফিল্ডিংয়ে নেমে শুরু থেকেই নিয়ন্ত্রিত বোলিং করেন টাইগাররা। উইকেট না পেলেও প্রথম ওভারে; প্রথম পাঁচ বলে কোনও রান দেননি হাসান মাহমুদ। স্টিফেন ডোহানি শেষ বলে নেন তিনটি রান। এরপর দ্বিতীয় ওভারেও তাসকিন আহমেদের দারুণ বোলিং, দেন ১ রান। তারও প্রথম পাঁচটি বল ডট।
টাইগার পেসার হাসান মাহমুদের গতিতে পঞ্চম ওভারে মুশফিকুর রহিমের তালুবন্দি হন আইরিশ ওপেনার ডোহেনি। এরপর ৬ষ্ট ওভারে তাসকিনের আবারও আটশাট বোলিং, মাত্র ১ রান দেন এই ডানহাতি পেসার । অপরদিকে নিজের পঞ্চম ওভার করতে এসে আবারও আইরিশ শিবিরে আঘাত হানেন হাসান। নবম ওভারের প্রথম বলে স্টার্লিংকে এলবিডব্লিউর ফাদে ফেলেন তিনি। ১২ বলে ৭ করে সাজঘরের পথ ধরেন এই ব্যাটার।
এরপর উইকেটে এসে বেশিক্ষণ থাকতে পারেনি আইরিশ ব্যাটার হ্যারি টেক্টরও। দলীয় ২২ রানে, একেই ওভারে হাসানের বলে এলবিডব্লিউর ফাদে পরে ৩ বলে শূন্য করে সাজঘরের পথ ধরেন এই ব্যাটার। অপরদিকে হাসানের পর আয়ারল্যান্ড শিবিরে আঘাত হানেন তাসকিন আহমেদ। ১০ম ওভারে তাসকিনের অফ স্টাম্পের বাইরের লেংথ বলটি শরীর থেকে দূরে খেলতে গিয়ে স্লিপে ক্যাচ তুলেন আয়ারল্যান্ড অধিনায়ক অ্যান্ডি বলবার্নি। তার বিদায়ে দলীয় ২৬ রানে চতুর্থ উইকেট হারায় আইরিশরা।
পঞ্চম উইকেটে লর্কান টাকার ও কার্টিস ক্যাম্পার ব্যাটে ঘুরে দাড়াতে থাকে আয়ারল্যান্ড। এই জুটি মিলে গড়েন ৪২ রান। কিন্তু দলীয় ৬৮ রানে এবাদতের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ৩১ বলে ২৮ করে সাজঘরে ফেরেন টাকার। এরপর উইকেটে এসে রানার খাতা খোলার আগেই প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন জর্জ ডকরেল। পরে দলীয় ৭৯ রানে তাসকিনের ওভারে আরো দ্রুত দুই উইকেট হারিয়ে রান সংগ্রহের চাপে পরে বলবার্নির দলের।
শেষে দিকে ক্যাম্পারের ৩৬ রানের ক্যামিও ইনিংসে ভর করে ২৯ ওভারে অলআউট হয়ে ১০১ রান সংগ্রহ করে আইরিশরা। বাংলাদেশের হয়ে বল হাতে সর্বোচ্চ ৫ টি উইকেট নেন হাসান মাহমুদ। এছাড়া তাসকিন আহমেদ নেন ৩ টি উইকেট।