একটা সময় ছিল স্পিনারদের উপরই নির্ভর করতো বাংলাদেশ। সেই সময়টা এখন বদলেছে অনেক। সম্প্রতি পেসারদের পারফরমেন্স অনন্ত তাই কথা বলে। স্পিনারদের সাথে এখন সমান তালে লড়াই করছেন পেসাররাও। সাম্প্রতিক সময়ে আরও বেশি উজ্জ্বল। হরহামেশাই বদলে দিচ্ছেন বহু ম্যাচের চিত্র। আর পেসারদের এমন পারফরম্যান্স দেখে অনুপ্রাণিত পুরো বাংলাদেশ দলই। তেমনি ভাবে প্রথমবারের মতো আইরিশদের বিপক্ষে রেকর্ড গড়ল বাংলাদেশের পেসাররা।
আইরিশদের বিপক্ষে সিরিজ নির্ধারনী ম্যাচে টসে হেরে বোলিং করতে যায় তামিমের দল। এদিন পেস বোলারদের তোপে আয়ারল্যান্ড অলআউট হয় মাত্র ১০১ রানে। এদিকে আইরিশদের বিপক্ষে ১০ উইকেট যায় পেসারদের ঝুলিতে। এতে অনন্য রেকর্ড গড়েন টাইগাররা। এর আগে ৫ জুলাই ২০১৯ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৮ উইকেট নেবার কির্তী ছিলো বাংলাদেশের পেসারদের। তবে আজ আগের সব মাইলফলক পিছে ফেলে পেসারদের অনন্য রেকর্ড গড়েন টাইগাররা।
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে দারুণ এক জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। প্রতিটি বিভাগেই টাইগাররা ছিলেন দুর্দান্ত। অসাধারণ ব্যাটিংয়ে এসেছে রেকর্ড স্কোর। এরপর বোলারদের জমাট পারফরম্যান্স। বিশেষকরে পেসারদের। ইবাদত-তাসকিনদের তোপে লড়াইটাও করতে পারেনি আইরিশরা। এর আগে ইংল্যান্ডকে টি-টোয়েন্টিতে হোয়াইটওয়াশ করার পেছনেও কার্যকরী ভূমিকা রেখেছিলেন পেসাররা।
তবে প্রেক্ষাপট বছর দশেক আগে গেলেই দেখা যাবে সম্পূর্ণ ভিন্ন চিত্র। ঘরোয়া ক্রিকেটে একজন পেসারকে দল খুঁজে পেতে হন্যে হয়ে ঘুরতে হতো। দল না পেয়ে নাম মাত্র মূল্যে খেলেছেন বছরের পর বছর। যে কারণে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন অনেকে। কুঁড়িতে শেষ হয়েছে অনেক সম্ভাবনাময় পেসারদের ক্যারিয়ার।
উজ্জীবিত সেই পেসারদের উত্থানে এখন প্রেরণা খুঁজছেন ফিল্ডার-ব্যাটাররাও। এদিকে প্রথম ম্যাচের পর পেসারদের প্রশংসা করে বাংলাদেশ দলের বোলিং কোচ রঙ্গনা হেরাথ বলছিলেন, ‘আমরা সবাই পেসারদের দ্বারা অনুপ্রাণিত। আমাদের কাছে এখন ভালো ফাস্ট বোলিং আক্রমণ আছে। সামগ্রিকভাবে, আমরা একটি ভালো ব্যাটিং এবং পেস ও স্পিন বোলার রয়েছে। এটা বাংলাদেশের ক্রিকেটের জন্য ভালো।’