গত রবিবার রাত ০১.০০ ঘটিকায় রাজশাহী জেলার গোাদাগাড়ী থানাধীন সারাংপুর গ্রামে র্যাব-৫, রাজশাহীর সিপিএসসি কোম্পানী অপারেশন পরিচালনা করে হেরোইন-০৬ কেজি ৭০০ গ্রাম, মোবাইল-০১টি, সীমকার্ড-০১টি, নগদ-১,৩০,৫০০/-টাকা উদ্ধার করে এবং আসামী ১। মোঃ আশিক (২৪), পিতা-মোঃ সাইফুল ইসলাম, সাং-সারাংপুর জামাতের মোড়, থানা-গোদাগাড়ী, জেলা-রাজশাহী‘কে গ্রেফতার করেন। দীর্ঘদিন যাবৎ একটি মাদক চোরাচালান চক্র আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে পদ্মার চর সংলগ্ন সীমান্তবর্তী এলাকা হতে অবৈধ মাদকদ্রব্য চোরাচালান করে রাজশাহীর গোদাগাড়ী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ হতে রাজধানীসহ দেশের সকল প্রান্তে মাদক সরবরাহ করে আসছিল। এরা বিভিন্ন সময় সীমান্তবর্তী এলাকা হতে হেরোইন সংগ্রহ করে খুব কম সময়ের মধ্যে তা রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে বাস, ট্রেন, ট্রাক ও অন্যান্য পরিবহণের মাধ্যমে অভিনব কায়দায় পাচার করে। মাদকের চোরাচালান রোধে র্যাব-৫ সর্বদা তাদের গোয়েন্দা নজরদারি পরিচালনা করে আসছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে দীর্ঘদিনের গোয়েন্দা কার্যক্রমের মাধ্যমে উক্ত মাদক চোরাচালান চক্রের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করার জন্য র্যাব-৫ এর গোয়েন্দা দল তাদের এ বিষয়ে নজরদারি বৃদ্ধি করে। গোয়েন্দাদল এটাও সনাক্ত করতে সক্ষম হয় যে, পাচারের পূর্বে চক্রটির সদস্য মোঃ আশিক ও তার পিতা মোঃ সাইফুল পার্শ্ববর্তী দেশ হতে মাদক সংগ্রহ করে রাতে কিছু সময়ের জন্য তা মজুদ করে এবং দ্রুত সময়ের মধ্যে অন্যান্য মাদক কারবারীর মাধ্যমে সারাদেশে ছড়িয়ে দেয়। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-৫ এর গোয়েন্দা দল জানতে পারে রবিবার রাতে এই চক্রের একটি বড় চালান পাচার হবে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে দূর্গম চর এলাকায় ০৩ টি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে র্যাবের অপারেশন দল দীর্ঘ ৮/৯ ঘন্টা অভিযান পরিচালনা করে। কিন্তু চক্রটি এরই মধ্যে চালানটি ভিন্ন পথে নদী পার করে ধৃত আসামীর বাড়ীতে নিয়ে আসে। পরবর্তীতে অপারেশন দল আবার নদী পার হয়ে রাত প্রায়-১২.৩০ ঘটিকার দিকে আসামীর বাড়ী ঘেরাও করে। র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে আসামী মোঃ সাইফুল পালাতে সক্ষম হলেও আসামী মোঃ আশিক পালাবার সময় হাতে নাতে র্যাবের হতে ধরা পড়ে। পরবর্তীতে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে সে হেরোইন মজুদের কথা স্বীকার করে এবং তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে তার রান্নাঘরের ভিতর চুলার পিছনে মাটিতে পোতা অবস্থায় এবং মাছ ধরার জালের ভিতর অভিনব কায়দায় লুকানো অবস্থায় উক্ত হেরোইন উদ্ধার করা হয়। আসামীর বিরুদ্ধে রাজশাহী জেলার গোদাগাড়ী থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলার প্রক্রিয়া চলছে।