চতুর্থ দিন কেবল ১ রান যোগ করতে পারলেন টেম্বা বাভুমা। তবে লোয়ার-অর্ডার ব্যাটসম্যানদের ছোট ছোট অবদানে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে তার দল দিল প্রায় চারশ রানের লক্ষ্য। রান তাড়ায় ভীষণ বাজে শুরুর পর টেস্টে নিজেদের সর্বনিম্ন রানে অলআউটের শঙ্কায় পড়ল ক্যারিবিয়ানরা। শেষ পর্যন্ত সেটা এড়াতে পারলেও বড় ব্যবধানে হেরে হোয়াইটওয়াশড হলো ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েটের দল।
জোহানেসবার্গে ২৮৪ রানে জিতে দুই ম্যাচের সিরিজ ২-০ ব্যবধানে জিতেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ৩৯১ রানের লক্ষ্য দিয়ে তারা মাত্র ১০৬ রানে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে থামিয়ে দিয়েছে।
দা ওয়ান্ডারার্স স্টেডিয়ামে লাঞ্চের আগে ঘণ্টাখানেক ব্যাটিংয়ের সুযোগ পায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এই সময়েই ৩৪ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় তারা। ওই ছয় উইকেটের দুটি করে নেন পেসার কাগিসো রাবাদা এবং দুই স্পিনার কেশভ মহারাজ ও সাইমন হার্মার। সফরকারীদের প্রথম ছয় ব্যাটসম্যানের মধ্যে কেবল অধিনায়ক ব্র্যাথওয়েট ছুঁতে পারেন দুই অঙ্ক। তিনিই ফেরেন সবার আগে। এবার এলবিডব্লিউ করে সিরিজে চতুর্থবারের মতো তার উইকেট নেন রাবাদা।
আরেক ওপেনার তেজনারাইন চন্দরপল ২ রান করতে খেলেন ৩৬ বল। র্যামন রিফার, জার্মেইন ব্ল্যাকউউ, রোস্টন চেইস ও কাইল মেয়ার্সরা টেকেননি বেশিক্ষণ। লাঞ্চের আগে শেষ ওভারে মেয়ার্স এলবিডব্লিউ হলে সেখানে প্রথম সেশনের সমাপ্তি হয়। এই উইকেট উদযাপন করতে গিয়ে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন মহারাজ। বাঁহাতি এই স্পিনার পরে আর বোলিং করেননি।
লাঞ্চের পর ওয়ানডে ঘরানার ব্যাটিংয়ে দলের রান তিন অঙ্কে নিয়ে যান জশুয়া দা সিলভা, জেসন হোল্ডার (১৯ বলে ১৯) ও আলজারি জোসেফ (১৩ বলে ১৮)। ৫২ বলে কিপার-ব্যাটসম্যান দা সিলভা করেন ৩৪ রান। তিনি ছাড়া আর কেউ বিশের ঘরে যেতে পারেননি। ৩৭ রানে ৩ উইকেট নেন জেরাল্ড কুটসিয়া। হার্মার ৩ উইকেট নেন ৪৫ রানে।
এর আগে ৭ উইকেটে ২৮৭ রান নিয়ে শনিবার (১১ মার্চ) চতুর্থ দিনের খেলা শুরু করে দক্ষিণ আফ্রিকা। আগের দিন ১৭১ রান করা বাভুমা ফিরে যান শুরুতেই। আগের দিনের আরেক অপরাজিত ব্যাটসম্যান মহারাজ ফেরেন দুই অঙ্ক ছুয়ে। দলকে ৩২১ পর্যন্ত নিয়ে যান কুটসিয়া ও রাবাদা। ১১ নম্বরে নেমে দুই ছক্কায় রাবাদা ১০ বলে করেন ১৬ রান।
দ্বিতীয় ইনিংসে ১৭২ রানের চমৎকার ইনিংসে ম্যাচ সেরার পুরস্কার জেতেন বাভুমা। একটি করে সেঞ্চুরি ও ফিফটিতে ২৭৬ রান করা এইডেন মারক্রাম জেতেন সিরিজ সেরার পুরস্কার।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
দক্ষিণ আফ্রিকা ১ম ইনিংস: ৩২০
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১ম ইনিংস: ২৫১
দক্ষিণ আফ্রিকা ২য় ইনিংস: (আগের দিন ২৮৭/৭) ১০০.৪ ওভারে ৩২১ (বাভুমা ১৭২, মহারাজ ১০, কুটসিয়া ৯*, রাবাদা ১৬; রোচ ১৪-২-৫৪-১, জোসেফ ১৪-১-৪৯-২, হোল্ডার ১৯.৪-২-৪৮-৩, মেয়ার্স ১৭-৫-৪৬-৩, রিফার ১১-০-৩৬-১, মোটি ১০-১-৪০-০, চেইস ১৪-১-৪৫-০, ব্ল্যাকউড ১-০-৩-০)
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২য় ইনিংস: ৩৫.১ ওভারে ১০৬ (ব্র্যাথওয়েট ১৮, চন্দরপল ২, রিফার ০, ব্ল্যাকউড ৪, চেইস ০, মেয়ার্স ৭, দা সিলভা ৩৪, হোল্ডার ১৯, রোচ ২, জোসেফ ১৮, মোটি ০*; রাবাদা ৭-১-১৯-২, হার্মার ১৭.১-৮-৪৫-৩, মহারাজ ২.৫-১-৪-২, মারক্রাম ০.১-০-০-০, কুটসিয়া ৮-১-৩৭-৩)
ফল: দক্ষিণ আফ্রিকা ২৮৪ রানে জয়ী
সিরিজ: ২ ম্যাচের সিরিজে ২-০তে জয়ী দক্ষিণ আফ্রিকা
ম্যান অব দা ম্যাচ: টেম্বা বাভুমা
ম্যান অব দা সিরিজ: এইডের মারক্রাম