বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির মুখপাত্র দৈনিক দিনকাল বন্ধ করে দেওয়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন দেশের বিশিষ্ট কবি, শিল্পী ও সাহিত্যিকরা।
শুক্রবার (১০ মার্চ) বিবৃতিতে তারা দেশের বহুল প্রচারিত পত্রিকা দৈনিক দিনকাল বন্ধের প্রতিবাদ জানিয়ে অবিলম্বে প্রকাশনা ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানান।
বিবৃতিতে তারা বলেন, জনগণের মৌলিক অধিকার হননে আওয়ামী সরকারের এই জঘন্য ও কদর্য ভূমিকার নিন্দা করার ভাষাও আমাদের জানা নেই। সংবাদপত্র দেশ, জাতি ও মানব সভ্যতা বিকাশের এক সবল মাধ্যম। সংবাদপত্র তথা গণমাধ্যম দেশ ও জাতির আয়নাস্বরূপ। যে দেশের সংবাদপত্র তথা গণমাধ্যম যতটা স্বাধীন সেই দেশ ততটাই উন্নত। সংবাদপত্র বা গণমাধ্যমের ওপর সরকারের কদর্য হস্তক্ষেপ এবং প্রকাশনা বন্ধ করে দেওয়ার অর্থ হলো মানুষের স্বাধীনতা হরণ করা। মানুষের কণ্ঠ রুদ্ধ করা ঘৃণ্য অপরাধ। বাকস্বাধীনতা না থাকলে জাতীয় জীবন দুর্বিসহ হয়ে ওঠে।
বিবৃতিতে তারা আরও বলেন, আমরা লক্ষ্য করছি আওয়ামী লীগ যখনই সরকারে আসে তারা জনগণের অধিকারসমূহ পদদলিত করে। গণতন্ত্র নির্বাসনে পাঠায়। দেশপ্রেমিক গঠনমূলক বিরোধীদলকে নানারূপ নির্যাতন, নিপীড়ণ, গুম, হত্যা, অপহরণ, হামলা, মামলা ইত্যাদি চালিয়ে দেশকে নরকপুরিতে পরিণত করে। ফলে বিচার ব্যবস্থায় ন্যায় হারিয়ে যায়। দুর্নীতিতে দেশ ছেয়ে যায়। বিদেশী আধিপত্যবাদী অশুভ শক্তির কালোছায়া স্বাধীন সার্বভৌম দেশের ওপর দিয়ে দাপিয়ে বেড়ায়। সংবাদপত্র এসব তথ্য জনসম্মুখে প্রকাশ করে।
দেশের বিশিষ্ট কবি ও সাহিত্যিকরা দেশ ও জাতির স্বার্থে অবিলম্বে বেগম খালেদা জিয়ার শর্তহীন মুক্তি দাবি করেন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে ফেরার অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টির আহ্বান জানান। একইসঙ্গে অবিলম্বে দৈনিক দিনকাল পত্রিকার প্রকাশনা চালু রাখার জন্য সরকারের প্রতিবন্ধকতা তুলে নেওয়ারও আহ্বান জানান।
বিবৃতি প্রদানকারীরা হলেন- প্রবীণ সাংবাদিক ও কবি এরশাদ মজুমদার, একুশে পদক ও বাংলা একাডেমি পুরস্কার প্রাপ্ত ছড়াকার ও সাংবাদিক আবু সালেহ, একুশে পদক প্রাপ্ত গীতিকার ও সাংস্কৃতিক ব্যাক্তিত্ব মনিরুজ্জমান মনির, বিশিষ্ট গীতিকার মুন্সি ওয়াদুদ, বিশিষ্ট সাংবাদিক ও সাহিত্যিক ড. রেজোয়ান সিদ্দিকী, বিশিষ্ট সাংবাদিক ড. আবদুল হাই সিদ্দিকী, অধ্যাপক কবি ড. জমীর হোসেন, অধ্যাপক ও কবি ড. পাবলোশাহী, বিশিষ্ট সাংবাদিক ও ছড়াকার ড. সৈয়দ নূরুল হুদা রনো, অধ্যাপক ড. সিদ্দিকুর রহমান খান, কবি ও সাংবাদিক মাহমুদ শফিক, কবি ও সাংবাদিক হাসান হাফিজ, কবি ও সাংবাদিক সৈয়দ কাজিম রেজা, ঔপন্যাসিক ও সাংবাদিক গাজীউল হাসান খান, ঔপন্যাসিক নূরুল হাসান খান, কবি, আবৃত্তিকার ও নাট্যকার কাজী আসাদ, কবি আলী মামুদ, নাট্যকার তরঙ্গ আনোয়ার, চিত্রনায়িকা কেয়া চৌধুরী, সাংস্কৃতিক সংগঠক এম এ মালেক, সাংস্কৃতিক সংগঠক জাহাঙ্গীর আলম শিকদার, সাহিত্যিক শাইরুল কবির খান, কবি কামরুল হাসান, কবি গাজী ফারুক, ছড়াকার ও টিভি সাংবাদিক সালাম ফারুক, ছড়াকার খান মোজাম্মেল, সাংবাদিক ও লেখক সৈয়দ আফজাল বাসেত, ছড়াকার ডা. সজল আশফাক, কবি ও সাংবাদিক রফিক হাসান, কবি ও সাংবাদিক রফিক ভূঁইয়া, ফটো সাংবাদিক আসাদুজ্জামান আসাদ, কবি সাহিত্যিক ও সম্পাদক উমর ফারুক, কবি ও লেখক রুখসানা মেরিনা, ক্রীড়া সাংবাদিক ড. মেহেদী মাসুদ, কবি ও সাংবাদিক আহমেদ করিম, কবি ও সাংবাদিক সাখাওয়াত হোসেন মুকুল, সাংস্কৃতিক সংগঠক মোহাম্মদ খালেদ, এনাম মুন্না, সংগীত শিল্পী হাসান চৌধুরী, ফয়সল আজিম, নজরুল সংগীত শিল্পী ফরিদা করিম, কবি কামরুন্নাহার, কবি ও সাংবাদিক কাজী ফখরু, গল্পকার আবু সাঈদ জুবেরী, আবৃত্তিকার সীমা ইসলাম, কবি সেলিম বালা, সংগীত শিল্পী জামালউদ্দীন নাসির, ছড়াকার নাসির হান্নান, ছড়াকার ও প্রকাশক আমিনুল ইসলাম মামুন, কবি সাদিয়া আরমান, সংগীত শিল্পী ইউনুস ফার্সি, ছড়াকার রফিক লিটন ও ছড়াকার মামুন সারোয়ার।