আগে ব্যাট করতে নেমে সংগ্রহটা মনের মতো হয়নি, ২৪৬। বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডের কাছে এমন লক্ষ্য আহামরি ছিল না। তবে বল হাতে বাংলাদেশের হয়ে জ্বলে উঠলো সাকিবসহ সব বোলার। তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে তাতেই রক্ষা।
সাকিব আল হাসানের এলবিডব্লিউর জোরালো আবেদনে আম্পায়ার আঙুল তুলে দেন। পাঁচ উইকেট নেওয়ার উল্লাসে মাতেন বাংলাদেশি স্পিনার। কিন্তু রিভিউ নিয়ে তাকে হতাশ করেন জোফরা আর্চার। তবে আর এক বল টিকতে পেরেছে ইংল্যান্ড। মোস্তাফিজুর রহমানের বলে তাকে ফিরতি ক্যাচ দেন ক্রিস ওকস। হাত ফসকালেও পরের চেষ্টায় বল ধরে ফেলেন বাঁহাতি পেসার ৪৬ বলে ২ চারে ৩৪ রানে থামেন ওকস। ১৯৬ রানে ইংল্যান্ড অলআউট, ৫০ রানে জয় পায় বাংলাদেশ। তাতে হোয়াইটওয়াশ এড়ালো তারা। ২-১ এ সিরিজ জিতেছে সফরকারীরা।
১০ ওভার বল করে ৩৫ রান দিয়ে চার উইকেট নেন সাকিব। এর আগে ব্যাট হাতে করেন ৭৫ রান। এনিয়ে চতুর্থবার এক ওয়ানডেতে পঞ্চাশ ছাড়ানো ইনিংসের পাশাপাশি চার উইকেট নিলেন বাঁহাতি অলরাউন্ডার। পাকিস্তানের সাবেক অলরাউন্ডার শহীদ আফ্রিদিও সমান ম্যাচে একই কীর্তি গড়েন।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে পুরো ৫০ ওভার খেলতে পারেনি বাংলাদেশ। ৪৮.৫ ওভারে অল আউট ২৪৬ রানে। জবাবে ইংল্যান্ড অল আউট ৪৩.১ ওভারে ১৯৬ রানে।