স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম বলেছেন, মানুষের জীবনমান উন্নয়নের জন্যই সরকার পরিকল্পনা নেয় এবং সমন্বিত উদ্যোগের ফলেই সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়।
শুক্রবার ঢাকায় বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)-এ ভবিষ্যত পরিকল্পনা বিষয়ক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবেলায় পরিকল্পনাবিদদের ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী আরো বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুখী ও সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছেন। এমনকি আগামী একশত বছরের জন্য তিনি বাংলাদেশের পথ পরিক্রমা ডেল্টা প্ল্যানের মাধ্যমে ঠিক করেছেন।
তাজুল ইসলাম বলেন, ২০০৯ সালে যখন আওয়ামী লীগ ক্ষমতা গ্রহণ করে তখন মাথাপিছু আয় ছিল মাত্র ৭০০ ডলার। আর বর্তমানে তা ২,৮২৪ ডলার। মাত্র ১৪ বছরে ২,১২৪ ডলারের ব্যবধান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুচিন্তিত পরিকল্পনার ফলেই সম্ভব হয়েছে।
তিনি বুয়েটের নগর ও পরিকল্পনা বিভাগের সাথে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের এক সাথে কাজ করার সুযোগ আছে জানিয়ে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে সবাইকে একসাথে কাজ করতে হবে। এ প্রসঙ্গে তিনি দুই প্রতিষ্ঠানের মধ্যে মেমোরান্ডাম অফ আন্ডারস্ট্যান্ডিং স্বাক্ষরের বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেন।
মন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনার “আমার গ্রাম আমার শহর” দর্শন বাস্তবায়নে পরিকল্পনাবিদদের সম্পৃক্ত করা গেলে শহরের নাগরিক সুবিধা গ্রামের মানুষের কাছে পৌঁছানো সহজ হবে। এতে মানুষের শহরমুখি হওয়ার প্রবণতা কমবে।
মন্ত্রী বলেন, বাসযোগ্য ঢাকা শহরের জন্যই বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা (ড্যাপ) করা হয়েছে। পরিকল্পিত ঢাকার জন্য পরিকল্পনাবিদসহ সবাইকে সচেতন হওয়ারও আহ্বান জানান তিনি।
সেমিনারে আরো উপস্থিত ছিলেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব কাজী ওয়াসি উদ্দিন এবং এতে সভাপতিত্ব করেন বুয়েটের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর ড. আব্দুল জব্বার খান।