সরকারি চাকরি থেকে বাধ্যতামূলক অবসর দেওয়া হয়েছে বিশেষ পুলিশ সুপার (এসপি) ড. মো. নাজমুল করিম খানকে। বর্তমানে তিনি পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) ফরেনসিক বিভাগে কর্মরত ছিলেন। গত বুধবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বিসিএস (পুলিশ) ক্যাডারের সদস্য সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার ড. মো. নাজমুল করিম খানকে সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ (২০১৮ সালের ৫৭ নং আইন) এর ৪৫ ধারার বিধান অনুয়ায়ী জনস্বার্থে সরকারি চাকরি থেকে অবসর প্রদান করা হলো। জনস্বার্থে এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে। নাজমুল করিম খান বিসিএস পুলিশ ক্যাডারে ১৫তম ব্যাচের কর্মকর্তা এবং জাপান থেকে কৃষিতে ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেন। এর আগে গত বছরের শেষ দিকে সিআইডির আরেক পুলিশ সুপার (এসপি) মো. মুনির হোসেনকেও বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠিয়েছিল সরকার। ২০ ডিসেম্বর তাকে অবসর দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। মুনির হোসেনকে ২০১১ সালের ১৯ জুলাই ওএসডি করে পুলিশ সদরদপ্তরে রাখা হয়েছিল। গত বছরের ১৬ নভেম্বর সরকারি চাকরি থেকে বাধ্যতামূলক অবসর দেওয়া হয় আরেক পুলিশ সুপার মো. আলী হোসেন ফকিরকে। তিনি খুলনা তৃতীয় এপিবিএনের অধিনায়ক হিসেবে কর্মরত অবস্থায় রাজশাহী রেঞ্জ ডিআইজি অফিসে সংযুক্ত হন। একই বছরের ১৮ অক্টোবর তিন পুলিশ সুপারকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠায় সরকার। তারা হলেন- সিআইডির পুলিশ সুপার মির্জা আব্দুল্লাহেল বাকী, পুলিশ সদরদপ্তরের পুলিশ সুপার দেলোয়ার হোসেন মিয়া এবং মো. শহিদুল্লাহ চৌধুরী। ওই বছরের ৩১ অক্টোবর দুই অতিরিক্ত ডিআইজিকেও বাধ্যতামূলক অবসর দেওয়া হয়। তারা হলেন-ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. মাহবুব হাকিম এবং সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি মো. আলমগীর আলম। এছাড়া ১৬ অক্টোবর তথ্য সচিব মকবুল হোসেনকে বাধ্যতামূলক সরকারি চাকরি থেকে অবসর দেয় সরকার। ২০২১ সালের ২ সেপ্টেম্বর সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি শেখ ওমর ফারুক ও খাগড়াছড়ির মহালছড়ির ষষ্ঠ এপিবিএনের অধিনায়ক (পুলিশ সুপার) মোহাম্মদ আবদুর রহিমকে অবসরে পাঠায় সরকার।