রাজশাহীর পদ্মায় অসময়ের ভাঙ্গনে বাঘা উপজেলার চকরাজাপুর চরের শতাধিক বাড়িঘর ও শত শত বিঘা জমিতে রোপণ করা আমবাগান, কুলবাগান, পেয়ারাবাগান, শাকসবজিসহ বিভিন্ন ফসলি জমি পদ্মার গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
এছাড়া পদ্মার ভাঙনের মুখে পড়েছে বাঘার চকরাজাপুর উচ্চ বিদ্যালয়। পদ্মার ভাঙন থেকে ৫ মিটার দূরে রয়েছে স্কুলটি। তবে স্কুলের মাঠ ও চারটি টিনের ঘর পদ্মায় চলে গেছে। যে কোনো সময় পাকা ভবন পদ্মার গর্ভে বিলীন হয়ে যাবে।
জানা যায়, চকরাজাপুর উচ্চ বিদ্যালয়টি ১৯৭৮ সালে স্থাপিত হয়েছে। এর মধ্যে ১৯৯৮ সালে, ২০১২ সালে ও ২০১৮ সালে স্থানান্তর করা হয়। এবারও অসময়ে পদ্মার ভাঙনের কারণে স্থানান্তর করতে হবে। এছাড়া অসময়ে ভাঙনে চকরাজাপুর চরের শতাধিক বাড়িঘর ও শত শত বিঘা জমিতে রোপণ করা আমবাগান, কুলবাগান, পেয়ারাবাগান, শাকসবজিসহ বিভিন্ন ফসলি পদ্মার গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
চকরাজাপুর উচ্চ বিদ্যালয় প্রধান শিক আবদুস সাত্তার বলেন, এই স্কুলে মোট শিক্ষার্থী রয়েছে ৫৩৭ জন। পদ্মা নদী ভাঙতে ভাঙতে স্কুলের মাঠ পদ্মায় চলে গেছে। চার কক্ষের টিনের ঘর সরিয়ে নিয়েছি। স্কুলের ৩ কক্ষ বিশিষ্ট পাকা ভবন ও টিনের আরও ৪ কক্ষ ঘর পদ্মার ভাঙন থেকে ৫ মিটার দূরে অবস্থান করছে। বিষয়টি প্রশাসনিক কর্মকর্তাকে অবহিত করা হয়েছে। চকরাজাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ডিএম মনোয়ার বাবলু দেওয়ান বলেন, অসময়ে ভাঙনের কারণে চকরাজাপুর, কালিদাসখালী, লক্ষ্মীনগর মৌজার চিহ্ন হারিয়ে গেছে। বর্তমানে এগুলোর স্থান বলতে কিছু নেই। সম্পূর্ণটা নদীগর্ভে চলে গেছে। তবে স্কুল ভবনটি স্থানান্তর না করলে অসময়ের ভাঙনে যে কোনো সময় নদীগর্ভে চলে যাবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন আখতার বলেন, অসময়ে নদীভাঙন পরিস্থিতি পরিদর্শন করেছি। পরিস্থিতি বুঝে স্কুলের বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে ।